ভারতে এসে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ধরা

ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করা ও অবৈধভাবে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে পৌঁছে যাওয়া মালদ্বীপের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে নিয়ে কূটনৈতিক টালবাহানার অবসান হচ্ছে। তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।

গত বৃহস্পতিবার আহমেদ আদিবকে আটক করে ভারত। তার বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির মামলা চলছে মালদ্বীপে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম ও সরকার জানাচ্ছে, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আদিব আত্মগোপনের পথ হিসেবে সমুদ্রপথে দেশ ছাড়েন।

কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি নৌকায় করে তিনি মালদ্বীপের জলসীমা পেরিয়ে চলে যান। রাজধানী মালে থেকে তিনি নিরুদ্দেশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। সতর্ক করা হয় নৌবাহিনীকে। কিন্তু তখন তার খোঁজ মেলেনি। পরে আহমেদ আদিবকে ভারতীয় জলসীমা অবৈধভাবে পার করার অভিযোগে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের কাছে আটক করে উপকূলীয় বাহিনী। নৌকাটিও জব্দ করা হয়।

জানা যায়, যাকে আটক করা হয়েছে তিনি ভিভিআইপি বা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার পরিচয় প্রকাশ হতেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। মালদ্বীপ সরকারকে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়। আটক সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়ে শুরু হয় কূটনৈতিক টালবাহানা।

ভারত সরকারের আইনে অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিচার হবে না কি মালদ্বীপ সরকারের হাতে তুলে দেয়া হবে এই নিয়ে নয়াদিল্লি ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলে। জানা গেছে, আজ শনিবার কড়া নিরাপত্তায় অনুপ্রবেশকারী মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সুমধুর। আগেও মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ সংকটের সময় ভারত সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মালদ্বীপকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে চলছে টানাপোড়েন।

সার্কভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে পাকিস্তানের অভিযোগ, মালদ্বীপে প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা নিতে সদা সচেষ্ট ভারত। সেই অভিযোগকে আমলে নিয়ে চীনন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর, দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের অভ্যন্তরে চীন ও ভারতের কূটনৈতিক লড়াইয়ে উত্তেজনা বেড়েছে।

এসএইচ-১৯/০৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)