থাইরাজা উপপত্মী সিনিয়াতের উপাধি কেড়ে নিলেন

থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ৬৭ বছর বয়সে এসে এমন হোঁচট খাবেন কল্পনাও করতে পারেননি। গত আগস্টে তিনি তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর উপপ্রধান সিনিয়াত ওংভাজিরাপাকদীকে (৩৪) বিয়ে করে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে নতুন রানি উপাধি দেন। কিন্তু সেই সিনিয়াত এখন থাইল্যান্ডের রাজার কাছে ‘কাবাব মে হাড্ডি’।

রাজপরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে সিনিয়াতের কারণে থাই রাজার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। তার মেজর জেনারেল পদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। রীতিমত দুর্ব্যবহার ও অসাধুতার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ডেইলি মেইল

অথচ মাস তিনেক আগে এই রাজপরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন সিনিয়াতকে রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এখন থেকে তিনি রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে সব ধরনের মর্যাদা ভোগ করবেন। রানির পাশে থাই রাজা মহা ভাজিরালংর্ন বসেছিলেন, আর উবু হয়ে মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে রাজার পা ছুঁয়ে সিনিয়াত অর্ঘ্য অর্পণ করছেন। এই ছবি সারাবিশে^ আলোড়ন তুলেছিল।

আর এখন সিনিয়াত থাই রাজপরিবারের গলার কাঁটা। ‘চাও খুন পারা’ সহ সবধরনের উপাধি কেড়ে নেয়া হয়েছে রাজার প্রতি তার অসাধুতার কারণে। থাই রাজকীয় এক গ্যাজেটে আরো বলা হচ্ছে সিনিয়াত তার নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে থাই রানি সুথিদা ভাজিরালংকর্ন আয়ুধ্যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন।

রাজপরিবারের ঐতিহ্য ও রীতিনীতি সিনিয়াত অনুসরণ করছেন না। এটা থাই রাজপরিবারের জন্যে চরম সন্মানহানিকর। এর আগে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন বিয়ে করেছিলেন তিনবার। তিন বিয়েতেই বিচ্ছেদ ঘটেছে। তার সাত সন্তান।

১৯৮৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের নান প্রদেশে সিনিয়াত জন্মগ্রহণ করেন। ২৩ বছর বয়সে রয়েল থাই আর্মি নার্সিং কলেজ থেকে তিনি গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন। সিনিয়াত থাই বিমান বাহিনীর চৌকষ বৈমানিক।

এসএইচ-১২/২২/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)