রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ পায়নি মিয়ানমারের তদন্ত প্যানেল!

মিয়ানমার সরকারের নিয়োগ করা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের (আইসিওই) প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংগ্রাম ঘটেছে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা ৩০টি পুলিশ চৌকিতে হামলা করায়। ইয়ন

কমিশন বলছে, তারা রাখাইনে হত্যা, বাস্তুচ্যুতি কিংবা মুসলিম বা অন্য কোন সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার পরিকল্পনা বা ইচ্ছারও প্রমাণ পাননি।

জাতীয়, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণবাদী বা ধর্মীয় গোষ্ঠিকে নির্মূল করতে সংঘব্ধ অপরাধ ঘটানো হয়েছিলো- এমন তর্ক করার অপ্রতুল প্রমাণ রয়েছে। এটাকে গণহত্যা বলা চলে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অন্যদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে-এ সিদ্ধান্তের যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।

২০১৮ সালে গঠন করা কমিশনে রয়েছেন দুইজন দেশি এবং দুইজন আন্তর্জাতিক কূটনীতিক। বিদেশি কূটনঅতিকরা হলেন- ফিলিপিনের রোজারিও মানালো এবং জাতিসংঘে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওসিমা।

কমিশন সদস্যরা গ্রামবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

২০১৭ সালে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সংখ্যা লঘু মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে আগুন ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। নিপীড়নের মুখে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে গাম্বিয়া। এ সপ্তাহেই রায় দিতে পারে জাতিসংঘ।

এসএইচ-২৫/২০/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)