মানুষের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে চীনের নতুন ভাইরাস

চীনে নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাধ্যমে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে। তবে ‘আতঙ্কের’ বিষয় হলো ভাইরাসটি দেশটিতে দ্রুত ছড়িযে পড়ছে, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ৮৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ভাইরাসটির সন্ধান পাওয়া চীনের কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

এদিকে ভাইরাসটিতে বেইজিং এবং সাংহাইয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। লক্ষণে নিউমোনিয়ার মতো এ ভাইরাসটি করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার (২০ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছে, গুয়াংডং প্রদেশে নতুন ভাইরাসে যে দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের শরীরে মানুষের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।

অপর এক বিবৃতিতে উহান পৌর স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ভাইরাসে এখানে অন্তত ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গত বছর চীনের উহান শহরে প্রথম ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়। শহরটি এক কোটি ১০ লাখ মানুষের বসবাস।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডে দুইজন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে একজন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে। আক্রান্তরা সম্প্রতি উহান ভ্রমণ করেছেন।

বিশ্বব্যাপী ‘নজরে’ আসা ভাইরাসটি ঠেকাতে এরইমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সিঙ্গাপুর, হংকং এবং জাপানের রাজধানী টোকিওর বিমানবন্দরে উহানের সব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করানো হচ্ছে। একই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিককো, লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের দুটি প্রধান বিমানবন্দরেও। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চীন থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে চীনে সরাসরি ফ্লাইট না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য, দুবাই, ভারত হয়ে কানেকটিং ফ্লাইটে চীন থেকে অনেক যাত্রী আসেন।

এসএইচ-১৫/২১/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)