প্রিন্স হ্যারির শশুর এ কি বললেন?

সম্প্রতি আকস্মিকভাবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়িত্ব ও পদবি ত্যাগ করেছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। রাজপরিবারের টালমাটাল অবস্থার মাঝেই আবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে বসলেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেলের বাবা থমাস মার্কেল। মেয়ের দিকে সরাসরি আঙুল তুলে তাঁর অভিযোগ, ‘রাজপরিবারকে সস্তা বানিয়ে ফেলেছে ও।’

ওদিকে, রাজপরিবার থেকে সরে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলে দাবি করেছেন প্রিন্স হ্যারি। রবিবার লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে রাজকীয় পদ ত্যাগের পর প্রথমবারের মতো বক্তব্য দিতে ওঠেন তিনি। আর সেখানেই হ্যারি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়ে বলেন, ‘সরকারি তহবিলের অর্থ নিয়ে দেশের হয়ে কাজ করতে না পারার আক্ষেপ থেকে রাজপরিবারের মর্যাদা ছাড়ার সিদ্ধান্ত।’

অন্যদিকে, মেগান মার্কেলের বাবা থমাস মার্কেলের কথায়, ‘সত্যিই এটা হতাশাজনক। প্রত্যেক মেয়ের স্বপ্নই হয় রাজপরিবারের বউ হওয়ার, রানি হওয়ার। আমার মেয়ে সে সুযোগ পেয়ে হেলায় তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। অর্থের জন্যই এমনতর কাজ সে করেছে বলে আমার ধারণা।’ সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন যে, ‘রাজকীয় এই পদ ছেড়ে দিয়ে আমার মেয়ে আদতে নিজের স্বপ্নকেই ছুঁড়ে ফেলেছে’।

ব্রিটিশ রাজপরিবার ছাড়ার পর রবিবারই প্রথমবারের মতো বক্তব্য রাখেন প্রিন্স হ্যারি। লন্ডনে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত নিয়ে একরকমের অনিশ্চয়তা থাকলেও, রাজকীয় পদবী ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল না।’

প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম সরকারি তহবিলের অর্থ না নিয়েই রানি তথা দেশ এবং কমনওয়েলথকে সেবা করে যেতে। কিন্তু তা একপ্রকার অসম্ভবপর হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

তবে রানির প্রতি সবসময়ের মতোই সম্মান আর পরিবার ও দেশের প্রতি আগের মতোই দায়বদ্ধ থাকবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রীকে রাজকীয় পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হলেও, রাজপরিবারের সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক ও বন্ধন আগের মতোই অটুট থাকবে।’

এই ঘোষণা দেওয়ার আগে থেকেই চাকরি খুঁজতে শুরু করেন হ্যারি ও মেগান। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের চাকরি দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে।

এসএইচ-১২/২২/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)