সুখি দেশ ভুটান, থমকে আছে পাঁচ জনেই

পৃথিবীকে ধমক দিয়ে দাড় করিয়ে দিয়েছে নভেল করোনা ভাইরাস। ধনী কিংবা গরিব কোন দেশই করোনার সাথে পারছেনা। অথচ, ভারত ও চীনের প্রতিবেশী ভুটান নীরব লড়াইয়ে নেমে করোনার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়েছে। থিম্পুর সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, দেশজুড়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাকে জনগণ জীবন যাপনের একটি নতুন পদ্ধতি বলেই মেনে নিয়েছেন। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন সবকটি চেকপোস্ট দিয়ে আসা যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

আপনি শুনলে অবাক হবেন ভুটানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কত ? পাঁচ জন। আর এই পাঁচ জন গত ২ সপ্তাহ আগের রোগী। নতুন করে আক্রান্তের খবর নেই। এছাড়া দেশটিতে কেউ মারাও যায়নি। যেভাবে করোনামুক্ত থাকছে ভুটান: পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের সঙ্গে সীমান্ত। সেই কারণে দুই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ভুটানের করোনা পরিসংখ্যান গবেষণা ও তার প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রস্তুত করাও অভিনব।

আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ ও ওপারের চুখা জেলার মধ্যে ভুটান গেটই হল প্রধান স্থল সীমান্ত। এর পরেই থাকে অসমের চিরাং আর ওপারের জেলেফুর মধ্যে চেকপোস্ট। এছাড়াও বাকি ছোটবড় সব সীমান্ত পথই সিল।

চিনের প্রতিবেশী আবার পশ্চিমবঙ্গের পড়শি দেশটির এতটাই বাংলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। সেই কারণেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভুটান সরকার। নিয়মানুবর্তিতার ফল, করোনা এখানে থমকে ৫ জনে। সর্বশেষ সরকারি রিপোর্টেও নতুন করে আক্রান্তের খবর নেই।

অথচ কোনও অবস্থাতেই এই যুদ্ধকে হালকা করে দেখছেন না ভুটানিরা। থিম্পু, পারো, ফুন্টশোলিং, জেলেফু, সহ বিভিন্ন শহর ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার ছোট বড় সব লোকালয়েই চলেছে জীবাণুনাশক বিলি ও ছড়ানোর কাজ। বিনামূল্যে। এই একটি উদ্যোগেই গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনা হামলা ঠেকিয়ে রেখেছে ড্রাগনভূমি।

এসএইচ-১২/১৮/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)