জার্মানিতে নববর্ষ বরণে প্রস্তুতি নেই

জার্মানিতে বড়দিনের পর খ্রিস্টীয় নববর্ষ বরণেও নেই কোনো আহামরি সাজসজ্জা কিংবা বড়সড় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। করোনার ভয়াবহ তাণ্ডবের কারণে লকডাউনের কড়াকড়িতে নেই নতুন বছর উদযাপনে আনন্দ উদ্দীপনা।

দেশটির রাজধানী বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গার গেট, যে গেটটি জার্মানিসহ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে শুধুই গেট নয় বরং ইতিহাস-ঐতিহ্য আর দেশটির আবহমানকালের সংস্কৃতির ধারক। জার্মানির সাধারণ মানুষের আনন্দ কিংবা বিষাদে এই ফটকটি-ই যেন চিরকালীন সাক্ষী।

গেল বছরগুলোতে পুরনোকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে এই গেটের সামনে কিংবা পেছনে অর্থাৎ পারিজার প্লাটজ বা উনটার ডেন লিনডেন হয়ে সিগার জয়েলে পর্যন্ত পুরো এলাকাটাতে নামতো লাখ লাখ মানুষের ঢল।

কিন্তু প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। প্রশাসন থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা থাকলেও থাকছে না কোন দর্শকের উপস্থিতি ও বড় আকারে আতশবাজি। এমনিতেই লকডাউনেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ জনের বেশি জমায়েত।

অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ নাগরিকেরা তাহলে কি ভাবছেন?

স্থানীয় এক নাগরিক জানান, করোনার কারণে আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ভাটা পড়বে সেটা জানতাম। তবে বছরের শেষদিনে গেটের চার পাশটা পুলিশ দিয়ে আটকে দেবে এমনটা আমরা চাইনি।

স্থানীয় একজন জানান, কি আর বলবো, করোনা খুব ভয়ানক। তাই আমার পরামর্শ ঘরে বসেই সবাই উদযাপন করুক।

এদিকে করোনার কড়াকড়িতে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে দেশটির আতশবাজি তৈরি ও বিক্রির কমপক্ষে ২১টি প্রতিষ্ঠান। অনেকের মনে ভয়ে ঢুকেছে দেউলিয়া হওয়ারও।

বর্ষবরণকে ঘিরে সব ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা আর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ করোনায় যাতে স্বাস্থ্য খাত ভেঙে না পড়ে সে কারণেই উদযাপনে কড়াকড়ি জানিয়েছেন বার্লিনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখপাত্র।

এসএইচ-১২/৩১/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)