করোনা: চীনে ১০ লাখের বেশি মানুষ ঘরবন্দি!

চীনের একটি মধ্যাঞ্চলীয় শহরে ১০ লাখেরও বেশি অধিবাসীকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিন ব্যক্তি উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এই ব্যাপক লকডাউনের ঘোষণা এসেছে।

ভাইরাসের প্রকোপের পর কঠোর সীমান্ত বিধিনিষেধ ও পূর্বনির্ধারিত লকডাউনের সঙ্গে ‘শূন্য কোভিড-১৯’ নীতি অনুসরণ করছে বেইজিং। কিন্তু সাম্প্রতিক স্থানীয়ভাবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে চীনের কৌশল মারাত্মক চাপে পড়ে যায়।

শীতকালীন অলিম্পিকস শুরু হওয়ার এক মাস বাকি থাকতেই নতুন বিপদে পড়েছে চীন। হেনান প্রদেশের প্রায় ১০ লাখ ১৭ হাজার জনসংখ্যার শহর ইউঝাও। সোমবার রাত থেকে বাসিন্দাদের সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যাঞ্চলের অধিবাসীরা অবশ্যই ঘর থেকে বের হবেন না। লোকজনকে সতর্ক থাকতে হবে ও মহামারি প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

ইতিমধ্যে শহরের বাস ও ট্যাক্সি সেবা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিপণিবিতান, যাদুঘর ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

মঙ্গলবার চীনের ১৭৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জন হেনান প্রদেশের। আর নিংবো শহরেও আটজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কম। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ২০২০ সালে মার্চ থেকে যা দেখা যায়নি।

এসএইচ-০৮/০৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)