পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বাতিল

জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বাতিলের বিল পাস হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে।

কারিগরি ত্রুটির সুযোগে কেউ যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে জন্যই বিলটি পাস হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে নির্বাচনে আপাতত প্রবাসী পাকিস্তানিরা ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানায় শাহবাজ সরকার।

নির্বাচনী আইনে সংশোধনী আনার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে একটি বিল পাস হয়েছে পাকিস্তান পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে। সরকারি দলের উত্থাপিত নির্বাচনী আইন সংশোধন বিল-২০২২-এ বিলটি পাস হয়।

ইলেকট্রনিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে নয়, কারিগরি ত্রুটির সুযোগে কেউ যাতে নির্বাচনী ফল প্রভাবিত করতে না পারে কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্যই বিলটি পাস হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়। এমনকি গেলবারের নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা দিতে প্রযুক্তির অপব্যবহার হয়েছে উল্লেখ করে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই বিল পাস হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী।

নির্বাচনে আপাতত প্রবাসী পাকিস্তানিরা ভোটদানে বিরত থাকবেন বলেও জানায় ক্ষমতাসীন দল। এতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করার অভিযোগে উঠলে তা নাকচ করে দেন পাকিস্তানি প্রবাসী ও মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সাজিদ হোসাইন তুরি। প্রবাসীদের ভোটাধিকারে কিছুদিনের মধ্যেই বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহারে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে বর্তমান শাহবাজ সরকারের পদত্যাগ ও দ্রুত নতুন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে ইসলামাবাদ অভিমুখে আজাদি মার্চ শুরু হয় চলতি সপ্তাহেই। এতে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে সরকারকে ছয় দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়।

এসএইচ-১০/২৭/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)