৪ ভারতীয়সহ নেপালে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান মিলল

নেপালে চার ভারতীয় নাগরিকসহ ২২ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমানের সন্ধান পাওয়া গেছে। নেপালের বেসরকারি একটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পরিচালিত ওই বিমানটি রোববার বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

তারা এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বিমানটি পোখারা থেকে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১৫ মিনিট পর কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে বিমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিধ্বস্ত বিমানটি পরে কোওয়াং গ্রামে পাওয়া গেছে।

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়ালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, তারা এয়ারের বিমানটি লামচে নদীর মুখে বিধ্বস্ত হয়। নেপাল সেনাবাহিনী স্থল ও আকাশপথে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

তারা এয়ারের মুখপাত্র জানান, দুই ইঞ্জিনের নাইনএন-এনএইটি বিমানটিতে ১৩ জন নেপালি নাগরিক, চারজন ভারতীয় নাগরিক, দুজন জার্মান নাগরিক ও তিনজন ক্রু ছিল। তবে ওই বিমানের যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

রোববার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে নেপালের পশ্চিম পাহাড়ি অঞ্চলের জোমসম বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল।

এর আগে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বিমানটি পাহাড়ি মুস্তাগ জেলার লেটিতে তিতি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে। হিমালয়ের পঞ্চম বৃহৎ শহর মুস্তাগ। মুক্তিনাথ মন্দিরের জন্য এখানে প্রচুর তীর্থযাত্রী আসেন।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাম কুমার দানি বলেন, ‘তিতির বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন যে তারা একটি অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনেছেন। এতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করছি।’

নেপালের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তারা এয়ারলাইন্স। এটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সুদূর বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে তাদের মতো করে ঝুঁকি নিয়ে আর কোনো কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করে না। এমনকি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে খাদ্যশস্য, ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনার দাবিও করেছে তারা।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্বতশৃঙ্গের দেশ নেপালের বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ বিমান নেটওয়ার্কে প্রায়েই দুর্ঘটনা ঘটে। ঝঞ্ঝাপূর্ণ আবহাওয়া ও বিপজ্জনক পাহাড়ি অঞ্চলে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে হরহামেশাই দেশটি থেকে বিমান বিধ্বস্তের খবর আসে।

২০১৬ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা মিগদিতে তারা এয়ারলাইনের বিমান দুর্ঘটনায় ২৩ যাত্রী নিহত হন।

এসএইচ-১৫/২৯/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)