থাই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় পুনর্বহাল

থাইল্যান্ডে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা আদালতের আদেশে ক্ষমতায় পুনর্বহাল হয়েছেন। দেশটির সাংবিধানিক আদালত শুক্রবার জানিয়েছে, গত মাসে আদালতের রায়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা আট বছরের মেয়াদ সীমা অতিক্রম না করায় ক্ষমতায় পুনর্বহাল হয়েছেন। খবর এএফপির।

২০১৭ সালে থাই সংবিধানের অধীনে, একজন প্রধানমন্ত্রী আট বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, এমন আইনের প্রেক্ষিতে গত মাসে প্রায়ুথ তার ক্ষমতার মেয়াদ সীমায় পৌঁছেছেন বলে বিরোধী দলগুলোর আনা এক অভিযোগ পর্যালোচনা করে আদালত প্রায়ুথকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ওচার মেয়াদ ঠিক কখন থেকে শুরু তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন সমর্থক ও সমালোচকরা।

প্রায়ুথ সমর্থকরা যুক্তি দেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ গণনা করা উচিত হবে ২০১৭ সালে আট বছরের মেয়াদের সীমা সম্বলিত একটি সামরিক খসড়া সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় থেকে বা ২০১৯ সালে নির্বাচনের পরে প্রায়ুথের বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় থেকে। আদালত সম্মত হলে, তিনি ২০২৫ বা ২০২৭ পর্যন্ত ক্ষমতায় বহাল থাকতে পারবেন।

দেশটির আদালতের শুক্রবারের দেয়া রায়টি প্রায়ুথের পক্ষে যায়। আগস্টে প্রায়ুথের স্থগিতাদেশের পর, তার ডেপুটি প্রবিথ ওংসুওয়ান তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখেন প্রায়ুথ।

এদিকে ২০২৩ সালে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রায়ুথের অব্যহতি তার পালং প্রাচারাট পার্টির ভাবমূর্তি ব্যপকভাবে ক্ষুন্ন করেছিল। কিন্তু আবারও পুনর্বহালের আদেশের ফলে দলের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, থাইল্যান্ডের এই সাংবিধানিক আদালতের রক্ষণশীল এবং রাজতন্ত্রপন্থিদের পক্ষে এবং সংস্কারবাদীদের বিপক্ষে রায় দেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। গত ১৬ বছরে এই আদালত তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে এবং তিনটি রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছে।

উপরন্তু আদালতে এখন কয়েকজন বিচারকই নিয়োগ করেছেন খোদ ওচা। ফলে এই বিচারকরা ওচাকে বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নেবেন বলে মনে করেন না অনেকেই।

এসএইচ-২৯/৩০/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)