রাশিয়ার তেল পরিশোধন করে বাংলাদেশে রফতানির উপায় খুঁজছে ভারত

রাশিয়া থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেল পরিশোধন করে বাংলাদেশে রফতানির উপায় খুঁজছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তুরস্ক এ ধরনের সরবরাহের জন্য ট্রানজিট দেশ হিসেবে কাজ করতে চায় বলে জানানোর পর ভারত বাংলাদেশে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রফতানির জন্য একটি ট্রানজিট দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার উপায় খুঁজছে।

দিল্লী তার ভৌগোলিক অবস্থান এবং ঢাকার সঙ্গে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে ট্রানজিটে সহায়তা করার জন্য এ বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি।

গত ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান জানিয়েছেন, তার দেশ রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি ট্রানজিট দেশ হয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহী।

এটি বাংলাদেশের জ্বালানি ঘাটতি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

এর পরেই রোববার  গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায়। আশা করছি, আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।

সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, ১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশে তেলপণ্য রফতানি করা।

মূলত রাশিয়া থেকে আমদানি করা তেল পরিশোধন করে সেটি এই পাইপলাইন দিয়ে বাংলাদেশে রফতানি করতে চায় ভারত।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, তুরস্ক বাংলাদেশের ওপর তাদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে। আর গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ও তুরস্কের সম্পর্কের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছে ভারত।

তবে ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, তুরস্কের আগ্রহের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তুরস্কের এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করার আগেই বাংলাদেশে রাশিয়ার তেল সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে ভারত আলোচনা করেছে।

বাংলাদেশ তুলনায়মূলক কম দামে রাশিয়ার তেল আমদানি করতে আগ্রহী। তবে ইস্টার্ন রিফাইনারির কারিগরি সীমাবদ্ধতা ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতে শোধন করে সেই তেল বাংলাদেশে আনার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এসএইচ-২৫/২১/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)