ভারতে মানসিক হাসপাতালে ৪ বছর, অবশেষে দেশে ফিরছেন রহিমা

দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষা পর অবশেষে ভারত থেকে দেশে ফিরছেন রহিমা আক্তার নামের ৩২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারী। ২০১৯ সালে ভারতে গিয়ে দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তর বিভাগে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

রোববার এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, ভারতে গিয়ে নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিলেন রহিমা। পুলিশ তাকে এক একটি সরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করায়।পরে চিত্তর বিভাগের সত্যভেদুর এক ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সেখান থেকে তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কয়েক সপ্তাহের চিকিৎসার পর স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে রহিমা জানান, তিনি বাংলাদেশি এবং তার বাড়ি কুমিল্লায়। আইনি জটিলতার কারণে চার বছরে ধরে হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছে তাকে। অবশেষে শনিবার (২২ জুলাই) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

রহিমার চিকিৎসা করা হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. রামি রেড্ডি জানান, তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

রহিমাকে বাংলাদেশে ফেরাতে সহযোগিতা করেছে বৈষভ মহিলা মান্দালি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।

সংস্থাটির প্রতিনিধি মাধবী গণপতী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘রহিমাকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। বিশাখাপত্তম থেকে ট্রেনে তিনি প্রথমে হাওড়া যাবেন, সেখান থেকে শিয়ালদহ। এরপর লোকাল ট্রেনে করে সোমবার (২৪ জুলাই) তার সীমান্তের কাছের একটি স্টেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

দুই সন্তানের জননী রহিমার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার জামালকান্দি গ্রামে। তিনি কুমিল্লায় একটি স্কুলে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

এসএইচ-০৭/২৩/২৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)