জয়পুরহাটে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়িওয়ালাসহ শ্রমিক নিহত

সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে বাড়িওয়ালাসহ ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় তাদের বাঁচাতে গিয়ে এক প্রতিবেশীও আহত হয়েছেন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শালাইপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন-পাঁচবিবি উপজেলার শালাইপুর গ্রামের বাড়িওয়ালা মৃত. আমজাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৪), বাঁশখুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাইম হোসেন (২২) ও আহত শালাইপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে জাকারিয়া হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শালাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে আসেন পার্শ্ববর্তী বাঁশখুর গ্রামের দুই শ্রমিক। এ সময় সেপটিক ট্যাংকে প্রথমে নাইম নামে এক শ্রমিক নামেন।

পরে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেলে বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলীও ঢুকে পড়েন। আর এ অবস্থায় তাদের দুজনের মধ্যে কেউ বের না হলে প্রতিবেশী জাকারিয়া তাদের খোঁজ করতে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।

এ সময় তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে চিৎকার শুরু করে। পরে প্রতিবেশীরা জাকারিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় নির্মাণাধীন বাথরুমের দেওয়াল কেটে নাইম হোসেন ও বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা।ৎ

জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার সানাউল হক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পাঁচবিবি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত জাকারিয়াকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন মন্ডল বলেন, শুধু মাত্র অসেচতনতার অভাবেই বার বার সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে নেমে জীবন দিতে হচ্ছে অসহায় শ্রমিকদের। সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাড়ানো দরকার।

পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিবুল আলম জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। পরে সিদ্ধান্ত হলে নিহতদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে থানায় পৃথক দুটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বিএ-০৭/২৩-০৯ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)