চরাঞ্চলের শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত

শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত কুড়িগ্রামের দুর্গম চরের শিশুরা। সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের মুসার চরের মোর্শেদার বয়স ১০ পেরিয়েছে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চরে এবং নিকটবর্তী অন্য চরে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় নিজের নাম লেখাটাও শেখা হয়নি তার।

একই অবস্থা তার পাঁচ ভাই বোনেরও। শুধু মোর্শেদা বা তার ভাই বোনেরা নয় মুসার চরের শতাধিক পরিবারের সন্তানরাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পা রাখতে পারেনি। শিক্ষা বঞ্চিত অসংখ্য চরের শিশুরাও।

অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয় না থাকায় চরের শিশুদের সময় কাটে খেলাধুলা ও নদীতে মাছ ধরে। চরের দু’ একজনের সন্তানকে অন্যত্র রেখে লেখাপড়া শেখালেও বারবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা অভিভাবকরাও অসহায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সব শিশুর শিক্ষা লাভের অধিকার আছে। এ ব্যাপারে সজাগ আছি। এছাড়া আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে প্রস্তাবনা আমার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত জেলায় রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক চর। আর ১২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চরাঞ্চলে রয়েছে ১৬৯টি বিদ্যালয়।

এসএইচ-১১/২৩/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)