অস্ত্রের কথা বলে সরকার সহিংসতা করতে চায়: মির্জা ফখরুল

সরকার পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সীমান্ত থেকে নাকি বিএনপি অস্ত্র আনছে। কী ভয়ংকর কথা। এটি জনগণের আন্দোলন রুখে দেওয়ার নতুন চক্রান্ত। জনগণের ওপর কেউ অস্ত্রবাজি করলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবিতে এই আইনজীবী সমাবেশের আয়োজন করে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। চলমান সরকারিবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সমর্থক আইনজীবীদের নতুন মোর্চা ইউএলএফ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজ এক সভায় বলেছেন, সীমান্ত থেকে অস্ত্র কিনছে বিএনপি। যখন জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে জেগে উঠেছে, সে মুহূর্তে এসব কথা নতুন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারে না, কোনো অস্ত্রই কাজ করে না।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,‘খবর পাচ্ছি, সীমান্ত থেকে অস্ত্র কিনছে তারা (বিএনপি)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুত করছে।’

আওয়ামী লীগ নেতার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘জনসমর্থন হারিয়ে ফেলায় সরকার সহিংসতা চাচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সহিংসতা চায় বলেই যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ নামের সমাবেশ পিছিয়ে ২৭ জুলাই নেওয়া হয়েছে। ২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। চক্রান্ত করে, সহিংসতা করে তা বন্ধ করা যাবে না। তিনি বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ করার ব্যবস্থা করতে সরকার-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ না হলে দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের কাটাছেঁড়া করে তৈরি করা সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ একটি চূড়ান্ত যুগসন্ধিক্ষণে রয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এত বড় রাজনৈতিক সংকট আর আসেনি। বসে বসে ঢুগঢুগি বাজানো এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে না। যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে ইসি গঠন করে নির্বাচন হবে।

এআর-০৬/২৫/০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)