স্তনের সৌন্দর্যে ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছেন পুরুষরা!

স্তনের সৌন্দর্যে

নারীর সৌন্দর্যে তাঁর ব্যক্তিত্বে। আর শরীরী আবেদনের প্রথম প্রকাশ স্তনের সৌন্দর্যে। পুরুষের মন বরাবার তাই এ সৌন্দর্যে আটকে থেকেছে। কখনও তা দৃষ্টিকটূও হয়েছে বটে। কিন্তু পুরুষের দৃষ্টি যে নারীর স্তন থেকে হটেছে এমনটা ছিল না। অন্তত এই আগের প্রজন্মও পর্যন্ত এ কথা বলা যেত। কিন্তু এখন আর তেমনটা বলা যাচ্ছে না। বরং নারীর স্তনের সৌন্দর্যের প্রতি ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছে পুরুষরা। পর্নহাব-এর এক সমীক্ষা অন্তত সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

ডেসমন্ড মরিস সাহেবের তত্ত্ব বলে, পুরুষ ও নারীর যৌনতায় কেন স্তনের এতখানি গুরুত্ব। সেই চারপেয়ে থেকে দু’পেয়ে হওয়ার অভিযোজনকালে, নিতম্বের রেপ্লিকা হিসেবে এসেছে এই স্তন।

ফলত সেদিন নিতম্বের পুরুষকে নারীর যৌন উদ্দীপনা সম্পর্কে যে বার্তা দিত, পরবর্তীকালে স্তন সেই ভূমিকা নিয়েছে। এ তো গেল বিজ্ঞানের কচকচি। স্তন তো শুধুমাত্র এই শুকনো তত্ত্বতেই সীমাবদ্ধ নেই।

কালে কালে এ অঙ্গের উপর আরোপিত হয়েছে রোম্যান্স। ফ্যান্টাসির পরতে প্লাবিত পদাবলী। রুপোলি পর্দা ভেসে গিয়েছে লুকোচুরি খেলায়। সব মিলিয়ে নারীর সৌন্দর্য আর স্তন যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। অন্তত পুরুষের কাছে। ফলে এই সেদিনও নারীর স্তনের প্রতি দুর্নিবার আগ্রহ ছিল পুরুষের। যা নাকি ইদানিং কমেছে, এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা।

পুরুষের পর্নগ্রাফি দেখার অভ্যাসে এটাকে প্যারাডাইম শিফটই বলা চলে। কেননা আগে যেখানে বেশিরভাগ পুরুষ ‘ব্রেস্ট’ বা ‘বুব’ লিখে সার্চ করতেন এই জনপ্রিয় পর্নগ্রাফিক সাইটে, এখন আর তা করেন না।

এই সার্চের প্রবণতা কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। যাঁরা এখনও সার্চ করেন মোট সার্চের নিরিখে শতাংশের হিসেবে তাঁরা মোটে ১.৫ শতাংশ। অর্থাৎ স্বাভাবিক স্তনের সৌন্দর্যের প্রতি পুরুষের আগ্রহ কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও ‘বিগ ব্রেস্ট’ বা ‘বিগ বুবস’ বলে সার্চ এখনও হচ্ছে। সিলিকনের গোঁজামিল নয়, স্বাভাবিক গুরুস্তনের প্রতি ঝোঁক এখনও বজায়।

পর্নসাইটের এই সমীক্ষা সমাজের ব্যবহারিক বদলেরও একটা হদিশ দেয়। কেন এই খোঁজ কমল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেদিনও রক্ষণশীলতার একটা ঘেরাটোপ ছিল।

এমনকী অনেক প্রগতিশীল সিনেমাও সরাসরি নগ্নতায় পৌঁছতে পারেনি। ফলে কৃত্রিম উপায় ধরতে হয়েছে। নায়িকাকে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে বা ঝর্ণার জলে স্নান করিযে স্তনের আভাস ফুটিয়ে তুলে ফ্যান্টাসির চাহিদা পূরণ করেছে রূপোলি পর্দা। কিন্তু সে সময় গিয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই মহিলারা অনেক বেশি খোলামেলা। নগ্নতা অনেক বেসি সহজলভ্য।

এখন আর বক্ষ বিভাজিকার গভীর খাঁজ ততটাই ইশারাবাহী নয়, ততটাও হাতছানি দেয় না যতটা আগে ছিল। ফলে আগ্রহ খানিকটা কমেছে। এদিকে ব্রেস্টফিডিংয়ের ভিডিওর খোঁজ এই সাইটে নাকি তুমুল। ফলে নতুন প্রজন্মের মানসিক গতিবিধির একটা লেখচিত্রের হদিশ যেন মেলে এ সমীক্ষায়।

আরএম-২৬/৩১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)