যেভাবে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাবে ‘ওয়াটার থেরাপি’

যেভাবে শরীরের

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকতে, শরীরকে তরতাজা রাখতে সারাক্ষণই পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

স্বাস্থ্য বলুন, রুপচর্চা বলুন আর শিল্প সবক্ষেত্রেই অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় জাপান এগিয়ে আছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তাদের সুন্দর স্বাস্থ্য ও সুগঠিত দেহের রহস্য কী?

স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের ভাষ্যমতে, জাপানিজদের পানীয় থেরাপি বেশ জনপ্রিয়। এটি ‘জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি’ কিংবা ‘ওয়াটার কিউর থেরাপি’ হিসেবেও পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে জাপানিজদের মধ্যে সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে এ থেরাপি বেশ প্রচলিত হয়ে উঠেছে।

ওয়াটার থেরাপির নিয়ম-

* সকালে খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস পানি পান করতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে খালি পেটে এই অভ্যেস।

* দাঁত ব্রাশ করার পরেও অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পানি ছাড়া কিছুই খাওয়া চলবে না।

* খাবার প্রতিদিন এক সময়ে খেতে হবে। খাওয়ার পর কোনোভাবেই দুই ঘণ্টা পানি পান করা চলবে না।

* শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে বা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ করে সকালে অনেকেই হয়তো চার গ্লাস পানি একবারে খেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে পানির পরিমাণ বাড়ান। প্রথমে শুরু করুন সকালবেলা বাসি মুখে এক গ্লাস পানি দিয়ে।

* এই থেরাপি চলাকালে পানি হোক বা অন্য কোনো খাবার, কখনোই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবেন না।

ওয়াটার থেরাপি শুরু করলে কয়েক দিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর ফলে বিপাকের হার বাড়বে। সঠিকভাবে কাজ করবে পরিপাকতন্ত্র। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীর থেকে ঝরে যাবে অতিরিক্ত মেদ। তার জন্য দরকার নেই কোনো অতিরিক্ত কসরত। প্রয়োজন নেই কোনো ক্ষতিকর কৃত্রিম ডায়েটের যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভোগাতে পারে।

আরএম-০১/২৩/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)