দীর্ঘায়ু হতে চান? নিয়মিত যৌন সম্পর্কের মধ্যেই লুকিয়ে রহস্য

দীর্ঘায়ু হতে চান

পুরুষদের আয়ু বাড়াতে কিছু অভ্যাসই যথেষ্ট। শুনতে অস্বাস্থ্যকর হলেও সুস্বাস্থ্যের দায়ে এগুলো মানা দরকার। গবেষণার রিপোর্ট এমনটাই দাবি করছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে কে না চায়! তাই তো এখন সবাই স্বাস্থ্যসচেতনতার চক্করে আবদ্ধ। কেউ নিয়মিত হাঁটতে যান, কেউ ডায়েট মেপে খান কেউ আবার ঘড়ি ধরে ঘুমাতে যান। আর কেউ কেউ আবার সব জেনে বুঝেও এতশত নিয়ম মেনে চলতে অপারগ। কয়েকদিন মেনেই ব্যস! আবার যে কে সেই। শেষে হতাশা জ্ঞাপন অধিকাংশেরই। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের বেঁচে থাকার হার কম। যেখানে মহিলারা ৮১ বছর বাঁচে সেখানে পুরুষদের বেঁচে থাকার গড় বয়স মাত্র ৭৬ বছর পর্যন্ত। কাজেই পুরুষদের সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। তাই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এমন কিছু অভ্যেস আনুন নিজের মধ্যে, যা আপনাকে দীর্ঘায়ু করতে সাহায্য করবে। কীভাবে? সম্প্রতি লন্ডনের পত্রিকা ‘দ্যা সান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেই মিলল পুরুষদের দীর্ঘায়ু হওয়ার চাবিকাঠি।

সমীহ করে মহিলাদের দিকে তাকান!

রাস্তাঘাটে যত্রতত্র নয়! তবে প্রিয়তমার সঙ্গে প্রাণখুলে মিশতে হবে। মুখে বলতে না পারলেও মন চায় বই কী! তাই মাঝে মধ্যে সঙ্গিনীর স্তনের দিকেও দৃষ্টিপাত জরুরি। এতে নাকি পুরুষদের মনের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা উদ্বুদ্ধ হয়। খুব কিউট কোনও প্রানির দিকে দৃষ্টিপাত করলেও পুরুষ মনে একই অনুভুতির সঞ্চার হয়। এটা স্বাস্থ্যকর অনুভূতি। ২০১২ সালে এক বিদেশি সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করেছে। এমন তথ্য মিলেছে, যে সকল পুরুষরা করোনারি হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত তাঁদের অধিকাংশই নিজেদের পজিটিভ চিন্তাভাবনামূলক অভ্যাস থেকে বিরত থাকেন। এমন করবেন না। প্রিয়তমার কাছে চেয়ে নিতেই পারেন সেই সুযোগ। তাহলে যে মানসিক তৃপ্তি মিলবে তা এক্সারসাইজের চেয়েও উপকারী।

যৌন মিলনের ইচ্ছা ভাল

যতদিন পর্যন্ত একজন পুরুষ সঙ্গিনীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের অভ্যাস বজায় রাখতে পারেন সে তত বেশি সুস্থ থাকেন। এতে ক্যানসার, হার্টের অসুখ থেকে অনেক নিরাপদ থাকা সম্ভব। ঘুমের সমস্যা থাকে না। কারণ এক্ষেত্রে মস্তিষ্ক থেকে ফিলগুড হরমোন নিঃসরণ হয়। এক সমীক্ষার তথ্য বলছে, অর্গ্যাজম পুরুষদের ৫০ শতাংশ মর্টালিটি রেট বা মৃত্যুর সম্ভাবনা কমায়। স্বাভাবিকের চেয়ে আটবছর বেশি বেঁচে থাকা সম্ভব।

বিবাহিতরা বেশি সুস্থ

দীর্ঘায়ু লাভ করতে চাইলে বিয়ে করা ভাল। অনেকেই মনে করেন জীবনে সবচেয়ে চাপের ব্যাপার বিয়ে। তা একেবারেই নয়। প্রায় ১ লাখ বিবাহিত আমেরিকান পুরুষদের নিয়ে সার্ভে করা হয়। দেখা গেছে পুরুষদের জীবনে সুখ-দুঃখে পাশে থাকবেন এমন সঙ্গিনী অত্যন্ত জরুরি। তা হলে মনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন সুস্থ শরীর বজায় রাখা সম্ভব।

চাই সন্তানসুখ

‘এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’- জার্নালে প্রকাশিত তথ্য বলছে, যাঁদের সন্তান রয়েছে সেই সব পুরুষরা ৬০ বছর বয়সের পর স্বাভাবিক যতদিন বেঁচে থাকতে পারেন তার চেয়ে দু’বছর বেশি বাঁচেন। আর ৮০ বছর বয়সের পর সেই সম্ভাবনা আরও আট মাস বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি সন্তানের ভাল হবে এই মানসিকতায় অধিকাংশ বাবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক শক্ত থাকেন যা নিঃসন্তানদের ক্ষেত্রে অবসাদ ডেকে আনে। পাশাপাশি সন্তানের যত্ন আর স্নেহ এই বয়সে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয়।

দায়িত্ববান মানেই স্বাস্থ্যবান

বয়স হয়েছে ভেবে কুঁড়েমি, অলসতাকে গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়। সম্প্রতি এক সমীক্ষার তথ্য বলছে, বয়সকালেও দায়িত্ববান হলে দীর্ঘদিন সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। গবেষকরা এমন তথ্যও পেয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় কোনও পুরুষরোগীকে যদি কোনও গাছ বসিয়ে নিয়মিত সেই গাছের পরিচর্যা করতে বলা হয়, তাতে সেই রোগীর মানসিক ও শারীরিক ক্ষমতার অনেক উন্নতি ঘটে। কাজেই অলস না হয়ে নিজেকে অ্যাকটিভ রাখার চেষ্টা করুন। ভাল থাকবেন।

আরএম-১২/০৫/০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)