সাতটি নিয়ম মানলেই কিডনি থাকবে বিপদমুক্ত

সাতটি নিয়ম

কিডনি আমাদের দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই এর সুস্থতায় থাকতে হবে সতর্ক। তাছাড়া কিডনির চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই যে কোনো রোগ হওয়ার আগে তা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

জানেন কি, কিডনি ভালো রাখতে খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। সাতটি নিয়ম ঠিকভাবে মানলেই কিডনি থাকবে বিপদমুক্ত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই সাতটি নিয়ম সম্পর্কে-

পেইন কিলার

সামান্য ব্যথা হলেই পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। কিডনির কোষের অতিরিক্ত ক্ষতি করে পেইন কিলার। ব্যথা একান্ত অসহ্য হলে তবেই তা খান।

লবণ

খাওয়ার পাতে লবণ খান খুব? এ অভ্যাসে রাশ টানুন আজই। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।

প্রস্রাব আটকে রাখা

বাইরে বেরোলে আটকে রাখেন প্রস্রাব? এমন অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। অনেকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে তা কিডনিতে চাপ তো ফেলেই, এমনকি, চিকিৎসকদের মতে, এমন অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখলে অচিরেই নষ্ট হতে পারে কিডনি।

মাংস না খেয়ে মাছ-শাকসবজি খান

চর্বি কিডনির জন্য খুব ক্ষতিকারক। মাংসের ফাইবারও পরিমাণে বেশি হলে তা কিডনির ওপর চাপ ফেলে। তাই ঘন ঘন মাংস খাওয়ার প্রবণতা থাকলে তা কমান, খেলেও খুব পরিমাণ মেপে খান।

পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করুন

কিডনি সুস্থ রাখতে হলে বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প নেই। প্রচুর পানি পান করুন। পানি কিডনিকে সচল রাখতে ও কিডনির স্বাভাবিক কার্যকলাপে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষ দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে কিডনি ভালো থাকবে।

কোমল পানীয়, কফি, চা

আমরা কোমল পানীয়, কফি, চা সহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। ক্যাফেইন তাৎক্ষণিকভাবে শারীরে ক্লান্তিভাব দূর করে। তবে পানিস্বল্পতা তৈরি করে। শরীরে পানিস্বল্পতা হলে কিডনি স্টোনের সমস্যা হতে পারেন। তাই সতর্ক হোন।

ধূমপান

ধূমপান একটি ভয়াবহ বদঅভ্যাস। ধূমপানের ফলে ফুসফুস ও ব্লাড ভ্যাসেলকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনে রাখবেন ধূমপান শুধু নিজের জন্য না অন্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।

আরএম-১২/১৩/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)