লিপ জেল ব্যবহার করেও ঠোঁট ফাটছে?

লিপ জেল

ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। বেশি কোমল হওয়ার কারণে শীতের শুষ্কতায় ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই শীতের সময় প্রায় সবাই ভোগেন ঠোঁট ফাটার সমস্যায়। লিপ জেল বা বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করেও এ সমস্যা থেকে রেহাই পান না অনেকই!

তবে ঠোঁট শুষ্ক বা ফাটা সমস্যার সমাধানে প্রায়ই বেগ পেতে হলেও প্রাকৃতিকভাবে খুব সহজেই এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব।

১. প্রথমেই ঠোঁট পরিষ্কার করার সহজ একটি উপায় জানা যাক। কাঁচা দুধ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি সাদা পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ওই মিশ্রণে ভিজিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিতে হবে। এতে ঠোঁট পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মসৃণ ও সুন্দর হবে।

২. এক চা-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে আলতো করে ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে। এই ঘরোয়া স্ক্রাব ঠোঁটের মরা কোষ পরিষ্কার করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করতে সাহায্য করবে।

৩. পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে দুধের মাঠা মিশিয়ে একটা মিশ্রণ করতে হবে। সেটা ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রলেপ ঠোঁটের পুষ্টিও জোগাবে। সমান পরিমাণে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর ভালো করে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলুন।

৪. সান ট্যান ছাড়াও ঠোঁট বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন। এর ফলে ঠোঁটে আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক থাকবে আর নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের রং-ও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী।

৫. ঠোঁটে এক টুকরা বিট নিয়ে হালকা করে ঠোঁটে মালিশ করুন। বিটের রস ট্যান বা পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি হয়ে উঠবে।

আরএম-২০/৩০/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)