সম্পর্কে ইগো, পরকীয়া-বিচ্ছেদের আগে যা করবেন

সম্পর্কে ইগো

একটি সম্পর্ক যখন গড়া হয়, কখনোই বিচ্ছেদের কথা ভাবা হয় না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে গড়ায়। অনেক সময়ই যার মূলে থাকে ইগো।

দাম্পত্য সম্পর্কে ইগো চলে এলে তা ঠিক করা বেশ কঠিন হয়ে ‍যায়। এই ইগোর প্রভাবে ক্ষতি হয় পারিবারিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও অবস্থান। আর মনোমালিন্য থেকে শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় যৌন জীবন এর পরিণতি অনেক সময়ই পরকীয়া। ফলাফল সম্পর্কের অবনতি-বিচ্ছেদ।

ইগো বা ব্যক্তিত্বের সংঘাত দেখা দিলে বিচ্ছেদের কথা না ভেবে প্রথমেই আন্তরিকভাবে সম্পর্কটি রক্ষার চেষ্টা করা উচিত। কারণ নিজেদের কথা ছাড়াও যদি সংসারে বাচ্চা থাকে তার কথাও ভাবতে হবে। ব্রোকেন ফ্যামিলির একটি সন্তান অনেক ধরনের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে বড় হতে থাকে। আর এই সামাজিক ও মানসিক চাপ তার ব্যক্তিত্বের সঠিক গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

সম্পর্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে চুপ না থেকে, নিজেদের মধ্যে সরাসরি কথা বলুন। যদি সমাধানের পথ না পান তবে পরিবারের নির্ভরযোগ্য কারো সঙ্গে কথা বলে দেখুন। তারপরও অবস্থার পরিবর্তন না হলে বিশেষজ্ঞ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন, মানসিক চাপ মোকাবিলা করে সুস্থ চিন্তা করার, সুখী হতে শেখায় কাউন্সেলিং। দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। এই সমস্যার সমাধানও হতে পারে সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে।

আরএম-১৬/১৪/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)