সংসারে সময় দেয় না স্বামী? সামলে নিন এভাবে

সংসারে সময়

সংসার স্বামী-স্ত্রী দুইজনের। কিন্তু এর বেশিরভাগ দায়িত্বই পালন করতে হয় স্ত্রীকে। গৃহিণীদের তো বটেই, কর্মজীবী স্ত্রীর বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয় না বললেই চলে। অফিসের কাজের চাপে সংসারের কাজের দিকে নজর দেয়ারও সময় মেলে না স্বামীর। এদিকে নিজের অফিস, সংসারের কাজ, ছেলেমেয়ের পড়াশোনাসহ যাবতীয় ঝক্কি পোহাতে হয় স্ত্রীকেই। দিনের পর দিন সাংসারিক সমস্ত দায়দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ভেতরে সম্পর্কে অবনতি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। চলে আসতে পারে সংসারের প্রতি বিরক্তিও।

বিরক্ত হওয়া কিংবা সংসারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে আসার আগে স্বামীর দিকটা একবার ভেবে দেখুন। আসলেই তার কাজের চাপ কতটা, তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সত্যতা মেলে তবে তার কর্মব্যস্ত জীবনের সঙ্গেই মানিয়ে নিন এভাবে-

নির্দিষ্ট করে নিন কিছু নিয়ম

কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকে হোক কিংবা অফিসের বাড়তি চাপে পড়ে হোক, স্বামী যদি সংসারে সময় দিতে না পারে তবে এক্ষেত্রে তাকে বোঝা খুব দরকার। কাজের প্রতি তার অনুভূতিটাও বুঝতে হবে। এমনও তো হতে পারে, অফিসের সবদিক সামলে সংসারের কাজে মন দেয়া আসলেই সম্ভব নয়। আর নিরুপায় হয়ে সংসারের সবটা আপনার উপর চাপিয়ে দেয়ার কারণে তার ভেতরে এক প্রকার অপরাধবোধ তৈরি হতে পারে। তাই কিছু নিয়ম নির্দিষ্ট করা দরকার।

যদি তার বাড়ি ফিরতে প্রতিদিনই বেশ রাত হয়ে যায় তাহলে ঠিক করে নিন, প্রতিদিন সকালের নাস্তাটা একসঙ্গে করবেন। আর এই সময়ে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি একদমই বন্ধ। সপ্তাহে অন্তত একদিন দুপুর কিংবা রাতের খাবার একসঙ্গে খান। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, পরস্পরের জন্য সময় বের করে নেয়া অসম্ভব নয়। সেই সময়টুকু একান্তভাবে নিজেদের জন্য রাখুন।

উপভোগ করুন সময়টুকু

দীর্ঘ সময় পাশাপাশি থেকেও উপভোগ করতে না জানার চেয়ে, অল্প সময় পাশে থেকে উপভোগ করা ভালো। স্বামীর সঙ্গে দিন কতটা সময় কাটালেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং কীভাবে কাটালেন, সেটিই আসল কথা। যতটুকু সময় পাশে থাকেন, চেষ্টা করুন তার সঙ্গ উপভোগ করতে। তাতে করে মানসিক তৃপ্তি মিলবে।

সময় দিন নিজেকে

বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে কিন্তু সঙ্গীর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া নয়। তিনি যদি সময় দিতে নাও পারেন, নিজের সময়টুকু অযথা নষ্ট করবেন না। কর্মজীবী হলে তো বেশ, না হলেও সমস্যা নেই। নিজের পছন্দমতো কিছু করার চেষ্টা করুন। অবসরটুকু নিজের মতো করে কাটান। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, শিখতে পারেন হাতের নতুন কোনো কাজ। এমন কিছু করুন যাতে সময়টুকু সার্থক হয়।

নিজেকে অনিরাপদ মনে করবেন না

স্বামী আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী সময় দিতে না পারলে মনের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়া অস্বাভাবিক নয়। এরকমটা হলে স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন এ বিষয়ে। যেকোনো সম্পর্কই সুন্দর রাখার জন্য খোলামেলা আলোচনা জরুরি। দু’জনের প্রতি দু’জনের আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে সম্পর্ক কখনোই অনিরাপদ মনে হবে না।

আরএম-১৭/১৫/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)