হাসপাতালে যাওয়ার সময় এসব সতর্কতা মেনে চলুন

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে! বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা লকডাউনের আওতায় রয়েছে, আবার বেশিরভাগই রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।

এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনার কোনো শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় তাহলে আপনার কী করণীয়? সেটা নিশ্চয়ই ভাবছেন। কারণ এই মুহূর্তে যে কোনো হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ায় করোনার ঝুঁকি আরো বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে বেশি জরুরি না হলে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে না যাওয়ায় ভালো। তবুও যদি এই সময় জরুরি কারণে হাসপাতালে যেতেই হয় তখন অবশ্যই কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে অত্যন্ত প্রয়োজন।

যে জিনিসগুলো এই সময় হাতের কাছে রাখা খুবই জরুরি- 

হাত ধোয়ার সাবান, অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডিসপোজেবল টিস্যু পেপার এবং সাময়িক স্বস্তি পেতে যে ওষুধগুলো গ্রহণ করেছিলেন সেই সমস্ত ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। সাবান, স্যানিটাইজার হাসপাতাল বা চেম্বারে থাকলেও নিজের সুবিধার জন্য কাছে রাখবেন। শিশুদের ক্ষেত্রে, তাদের খাবার, ডায়াপার বাড়ি থেকে নিয়ে যাবেন।

এবার তবে জেনে নিন হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বারে গেলে কী করণীয়-

১. মুখে মাস্ক ব্যবহার করে ঘর থেকে বের হতে হবে।

২. ডাক্তারের চেম্বারে ঢোকার আগে নিজের হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।

৩. হাত ধোয়ার পর ডিসপোজেবল টিস্যু পেপারে হাত মুছে নিন এবং সঠিক জায়গায় ফেলুন। কাপড় বা রুমাল দিয়ে হাত মুছবেন না।

৫. হাত মুছে নেয়ার পর অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার ভালো করে হাতে লাগিয়ে নিন।

৬. চেম্বারে যদি বেশি লোক থাকে তাহলে বাইরে অপেক্ষা করাই ভালো। বসতে চাইলে অন্য রোগীদের থেকে এক মিটারের ব্যবধানে বসবেন।

৭. ডাক্তার দেখানো হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আরেকবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

৮. বাড়ি ফিরে কোনো জায়গায় না বসে সোজা বাথরুমে গিয়ে গোসল করে নিন। এরপর সব জামা কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।

৯. চেম্বারে হাঁচি বা কাশি দিলে টিস্যু ব্যবহার করুন এবং দ্রুত টিস্যুটি উপযু্ক্ত স্থানে ফেলে দিন এবং হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিন।

শিশুদের ক্ষেত্রে যা করবেন- 

১. শিশুদের হাতও ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ডিসপোজেবল টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে দিন।

২. চেম্বারে শিশুকে ছেড়ে দেবেন না। নিজের কোলেই শিশুকে রাখবেন। আবার অন্যের কোলেও শিশুকে দেবেন না।

৩. শিশুর মুখের লালা যেন চেম্বারের মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখবেন।

৪. শিশু যদি একটু বড় হয় তবে তাকেও মাস্ক পরান। বাচ্চা যাতে তার আঙ্গুল মুখের ভেতরে প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দেবেন।

৫. ডাক্তার দেখানোর আগে ও পরে শিশুর হাত সাবান পানিতে ধুয়ে দিন।

বিভিন্ন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করতে এই ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে এই নিয়মগুলো কেবল করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য যে কোনো জীবাণুর থেকেও রক্ষা পেতে মেনে চলা প্রয়োজন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই