পাঁচ অভ্যাসেই ওজন কমবে তরতরিয়ে

নিয়মমাফিক ডায়েট ও শরীরচর্চা করার পরও সামান্য কয়েকটি ভুলে ওজন কমে না! এতে বিরক্ত হয়ে অনেকেই আবার ডায়েট ও শরীরচর্চা বন্ধ করে দেয়! এটি শরীরের জন্য আরো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ওজন সহজে বাড়লেও তা কমাতে খানিকটা কষ্ট হবেই! এজন্য মনোবল বাড়িয়ে একনিষ্ট চিত্তে পুষ্টিকর ডায়েট ও শারীরিক কসরত করতে হবে। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। জেনে নিন সেগুলো-

ধীরে ধীরে খাওয়া

দ্রুত খেলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। কার আপনার পেট ভরে গেছে সেই সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছায় খাওয়া শুরুর ২০ মিনিট পর। তবে যদি কেউ পাঁচ মিনিটে পেট ভর্তি করে খাবার খেয়ে নেয় তবে সে অবশ্যই বেশি খাবে। আর আপনি যদি ধীরে ধীরে খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনি দিনে ২০১ মিলি ক্যালোরি কম গ্রহণ করবেন।

ছোট প্লেট ব্যবহার করুন

প্লেটের সাইজ যদি ৩০ শতাংশ কম হয় তবে আপনার ক্যালোরি ৩০ শতাংশ কম হবে। এই ক্ষেত্রে নিজের খাদ্য নিজে নিয়ে খেতে হবে।

খালি পেটে কার্ডিও ব্যায়াম

সকালে খাটি পেটে যে কোনো কার্ডিও ব্যায়াম করলে আপনার ১০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যালোরি কমতে পারে। কার্ডিও ব্যায়াম তাকে বলা হয় যেগুলো আপনার হার্ট রেটকে বাড়িয়ে তোলে। সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করলে আপনার ক্যালোরি বেশি খরচ হয়। কারণ আপনি ব্যায়াম করলে আপনার শরীর শক্তি চায়। তবে পেট খালি থাকলে পেটের চর্বি এটা সরবরাহ করে।

খাওয়ার মাঝে পানি না খাওয়া

অনেকেরই এই খারাপ অভ্যাসটি রয়েছে। খাওয়ার মাঝে পেট ভরে পানি ও খাবার দুটোই খায়। খাওয়ার সময় পাকস্থলিতে যে পাচক রস থাকে পানি পান করলে তা কমে যায়। যার ফলে খাবার সঠিকভাবে হজম না হয়ে শরীরে শোষিত হয়ে যায়। যার ফলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এবং খাওয়ার এক ঘণ্টা পর পানি পান করা উচিত।

কখনো ক্ষুধার্ত হবেন না

খাবার ঠিকই খাবেন তবে অতিরিক্ত নয়। আর যতটুকু সম্ভব ক্ষুধার্ত না থাকার চেষ্টা করবেন। আর প্রতিবার পেট ভরাবেন পু্ষ্টিকর খাবার দিয়ে।