চুলের যে কোনো সমস্যার সমাধান রয়েছে এই পাতায়!

নারী-পুরুষ সবাই কমবেশি চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর মধ্যে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া, টাক হয়ে যাওয়া, চুল বড় না হওয়াসহ খুশকি ইত্যাদি অন্যতম কয়েকটি সমস্যা।

প্রাকৃতিক দূষণসহ বিভিন্ন কেমিকেলযুক্ত পণ্য ব্যবহারের কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। অনেকেই আবার চুলে রং করে থাকেন কেউবা স্ট্রেইট বা কার্ল করেন! এসবের কারণে চুল আরো রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে থাকে। তবে জানেন কি? একটি পাতার সাহায্যেই চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান ঘটবে। জেনে নিন কীভাবে-

> অল্প বয়সে অনেকেরই চুলে পাক ধরে। এই সমস্যা সমাধানে কারি পাতা হলো অন্যতম সেরা উপাদান। কারি পাতায় থাকা ভিটামিন বি অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করে। এছাড়াও কারি পাতা ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়। এজন্য কিছু কারি পাতা সূর্যের আলোতে শুকিয়ে গুঁড়া করুন। এক টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে এটি মেশান। চুলের গোড়ায় এবং চুলের শেষ প্রান্তেও পেস্টটি লাগান।

> বর্তমানে চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারি পাতা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল পাতলা হওয়া রোধ করে। কিছু কারি পাতা ব্লেন্ড করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে ভালোভাবে লাগান এবং এক-দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন

> খুশকির সমস্যায় প্রায় সবাই ভুগে থাকেন। কারি পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যসমূহ মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে। এতে খুশকি এবং ফাঙ্গাস থেকে রক্ষা মেলে। এজন্য দইয়ের সঙ্গে কারি পাতা মিশিয়ে পেস্ট প্রস্তুত করুন এবং এটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।

> মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ফিরে পেতে হেয়ার টনিকের  বিকল্প নেই। কারি পাতা চুলের টনিকের জন্যও ভালো কাজ করে। এক মুঠো তাজা কারি পাতা নিন এবং এতে ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে এটি প্যানে ফুটিয়ে নিন। পরে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে এটি মাথায় লাগান। কারি পাতায় ভিটামিন বি-৬ থাকার কারণে, এই পাতাগুলি চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

> ডায়েটেও কারি পাতা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারি পাতা সিদ্ধ পানি খেলে স্বাস্থ্যের পাশিপাশি আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যাও মিটবে।