করোনা সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে ডেঙ্গু

করোনা

দেশে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমলেও বেড়ে চলছে ডেঙ্গু৷ এরমধ্যে ভারতে ডেল্টা প্লাস-এর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় বাংলাদেশেও তা নিয়ে আছে নতুন আতঙ্ক৷

দেশে এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ২৭ ভাগ কমেছে৷ আর সংক্রমণও কমেছে ৩৪ ভাগ৷ সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো এটা স্থায়ী হবে কী না৷ কারণ ভারতে ডেল্টা প্লাস সংক্রমণ বাড়ছে৷ সেখানে অক্টোবরে করোনার আরকটি নতুন ওয়েভের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৪ জন৷ আর করোনায় আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৪৯ জন৷ আর ২৪ ঘন্টায় সনাক্তের হার শতকরা ১৫.১২ ভাগ৷ এপর্যন্ত গড় সনাক্তের হার ১৬.৮৯ ভাগ৷

এদিকে হাসপাতালেও চিকিৎসার জন্য রোগীদের ভিড় আগের তুলনায় কমছে৷ ঢাকার সরকারি কোভিড হাসপাতালের ৩৮২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৪৫টি খালি আছে৷ চার হাজার ২৭২টি কোভিড বেডের মধ্যে দুই হাজার ৪৪৩টি খালি আছে৷

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর সব কিছুই খুলে গেছে৷ প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষার সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য বলেছেন৷

কিন্তু ভারতে অক্টোবর মাসে আবার নতুন করোনা ওয়েভের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সেখানে ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে৷ বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট দিয়েই৷ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এই ভেরিয়েন্ট সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে৷ তাই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ কমে আসার এই হার স্থায়ী হবে কী না৷ আর সেটা স্থায়ী করতে হলে করণীয় কী?

করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বিএসএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম মনে করেন,” করোনা সংক্রমণ আরো কমবে৷ গত বছরও এই সময়েই সংক্রমণ কমে গিয়েছিলো৷ তবে এর কারণ কী সে সম্পর্কে আমাদের কোনো গবেষণা নেই৷ গত বছর করতে চেয়েছিলাম, পারিনি৷ তবে এবার একটা গবেষণা শুরু করেছি৷ এখনও ফল হাতে পাইনি৷”

তিনি আরো মনে করেন,”এবার কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এখানে আর হয়তো করোনা বাড়বে না৷ ভ্যাকসিন যদি দ্রুত দিয়ে দেয়া যায় তাহলে অনেক ভালো হবে৷ আর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে৷ এটা আরো কড়াকড়ি করতে হবে৷”

ভারতে আবার ওয়েভ শুরু হলে বাংলাদেশেও হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন,”এবার সেরকম হবে বলে মনে করি না৷ তবে আমাদের উচিত হবে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া৷”

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন,” আমাদের এখনই খুশি হওয়ার কিছু নাই৷ অক্টোবরে আরেকটি ওয়েভ আসতে পারে৷ সেটা ঠোকতে হলে আমাদের এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন৷”

এসএইচ-১৪/২৪/২১ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)