মাহবুব তালুকদারের কথা সত্য নয়: সিইসি

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে মন্তব্য করেছেন তা নাকচ করে দিয়ে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সংবিধানে ৪৯ ধারায় নির্বাচন কমিশনারদের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি তার যে কোনো মতামত দিতে পারেন। তবে মাহবুব তালুকদার যে কথাটা বলেছেন, তা সত্য নয়। নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো ও সুন্দর রয়েছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি শহরের সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলানায়তনে তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। তারা যে যার মতো করে প্রচার-প্রচারণা ও মিছিল-মিটিং করতে পারছেন। কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সব প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয়েছে। তবে নির্বাচনে মাঝেমধ্যে ছোটোখাটো ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রার্থীদের নিজেদের উদ্যোগেই এসব ঘটনা মিটমাট হয়ে যায়, আবার অনেক সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সমতলের মতো পাহাড়েও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে পার্বত্য এলাকার গুরুত্ব ভিন্ন। ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন ও নির্বাচন যাতে কারো দ্বারা অন্যায়ভাবে প্রভাবিত না হয়, সেজন্য সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন কে এম নুরুল হুদা।

সিইসি আরও বলেন, পাহাড়ে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। দুর্গম এলাকায় নির্বাচনী মালামাল ও কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। সেনাবাহিনী নির্বাচনী কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু কোনো সসম্যা দেখা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন– নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. গোলাম ফারুকসহ সেনাবাহিনীর তিন পার্বত্য জেলার ব্রিগেড কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

বিএ-০৭/১৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)