নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার এবং ‘গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত’ থাকার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান ও বাংলাদেশে সংস্থাটির দূত রেন্সজে তিরিঙ্ক বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই বার্তা পৌঁছে দেন।

তারা সুশাসন, গভীর অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ দু’পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে অভিনন্দন জানান রেন্সজে তিরিঙ্ক। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইইউকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যবসা, বেসরকারি খাত, শিক্ষাসহ সব পর্যায়ে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন ও উদ্ভাবনীমূলক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর জোর দেন, বিশেষ করে কার্যকর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের উপায় বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় ইইউর দূত ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) কথা উল্লেখ করেন, যা এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর স্বার্থে উন্নত ‘ব্যবসায়িক পরিবেশ’ নিশ্চিতের ওপর জোর দেন।

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ায় ড. মোমেন এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের পিতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে তার জন্য কাজ করতে ইইউর দূতের প্রতি আহ্বান জানান।

জবাবে রেন্সজে তিরিঙ্ক রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ইইউর পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

এছাড়া অভিবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে চলমান ‘অত্যন্ত মূল্যবান ও সফল’ সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত।

বিএ-২৪/১৭-০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)