‘শুধু ত্রুটি ধরা টিআইবির কাজ হতে পারে না’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কার্যক্রম নিয়ে ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) সমালোচনাকে দুদক সবসময় সাধুবাদ জানায়। তবে দুদক বা অন্য কোনো সংস্থার সমালোচনা করতে হলে তাদের দেশের সমসাময়িক বাস্তবতা, পরিস্থিতি এবং সংস্কৃতিকে অনুধাবন করতে হবে। সমালোচনার সাথে পরিত্রাণের উপায়ও বলতে হবে। সরকার বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল কোনো ভালো কাজ করলে তার প্রশংসাও করা উচিৎ। তাদের একচোখা হলে চলবে না, দুচোখা হতে হবে।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে টিআইবির চলমান কার্যক্রমের মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নিরূপণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শুধু সমস্যা বা ত্রুটি তুলে ধরা টিআইবির কাজ হতে পারে না। বরং এসব সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দেয়ার সুযোগ তাদের রয়েছে। সমস্যা শনাক্তকরণের পাশাপাশি এর কারণ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি এমনকি বৈদেশিক অর্থে পরিচালিত প্রতিটি সংস্থারই অর্থের মালিক জনগণ। তাই টিআইবিসহ প্রতিটি সংস্থার বাজেট, আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বচ্ছ থাকা উচিৎ। তাদের আয়-ব্যয়, কর্মপরিকল্পনা, অডিট কার্যক্রম শুধু ওয়েবসাইটে না রেখে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমেও মানুষকে অবহিত করা উচিৎ।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, টিআইবি যাদের অর্থায়নে পরিচালিত হয় তাদের অবশ্যই প্রত্যাশা থাকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সুশাসনের উন্নয়নে টিআইবি ভূমিকা রাখবে। টিআইবি সরকার ও রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহকে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ দিতে পারে।

টিআইবির গবেষণা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিআইবির গবেষণার মেথডোলোজি স্বচ্ছ হতে হবে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাধ্যমিক ডাটা ব্যবহার করে অথবা ফোকাসগ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ করে। তাদের উচিৎ প্রাথমিক ডাটা ব্যবহার করা। তাহলে তাদের গবেষণার ফলাফল ও বিশ্লেষণে ত্রুটি কম থাকবে এবং তাদের প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– বাংলাদেশের পরামর্শক মাহিন সুলতান এবং টিআইবির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর সাদিক।

বিএ-১২/০৩-১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)