রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার প্রাণ গেছে নুসরাতের

ফেনীর সোনাগাজীতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি মারা যাওয়ার পেছনে রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই নুসরাতকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শাপলা কুঁড়ি একাডেমির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কেন নুসরাতকে এভাবে নির্যাতিত হয়ে মরতে হবে? আমি জানি না। কিন্তু এর উত্তর আমাদের রাজনীতিবিদদের দেয়ার কথা। আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তার পরও আমি স্বপ্ন দেখি।’

সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকের এই অনিরাপদ বাংলাদেশের দায়ভার আমাদেরই। তার পরও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। একদিন নিশ্চয়ই হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে এই শিশুদের হাত ধরে।

এ সময় মির্জা ফখরুল শিশুদের দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নীপিড়নমুক্ত অনাচারমুক্ত সমাজ গড়ায় একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিন তলায় যান।

সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নুসরাত।

গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

বিএ-১৭/১৭-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)