বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে কার্যাদেশ

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কার্যাদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

বিজিএমইএ ভবনের ধ্বংসস্তূপ আগামী তিন মাসের মধ্যে সরানো হবে জানিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা হবে। তবে কী পদ্ধতিতে ভবনটি ভাঙা হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে আগামী ২৫ এপ্রিল।’

তিনি বলেন, ‘ভবনটি ভাঙতে ইতোমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে। আর ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বাছাই করা হবে ঠিকাদার। উপযুক্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান না পেলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকেই ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব দেয়া হবে।’

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মঙ্গলবার ভবনটি ভাঙার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভবনটিকে আমাদের দখলে নিয়েছি, ভবনে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি।’

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে ক্যানসারের মতো’ বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করলে ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগ সেটি খারিজ করে দেন। এ রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

পরে ভবন ভাঙ্গতে আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। দুই দফা বৃদ্ধির পর তৃতীয় দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেন আদালত। এই সময়সীমা পার হওয়ার চতুর্থদিনে মঙ্গলবার সকালে বুলডজারসহ ভাঙার যন্ত্রপাতি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিজিএমইএ ভবনের সামনে উপস্থিত হন রাজউকের কর্মকর্তারা। এ সময় রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভবন ভাঙার জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ভবনে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। তাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

রাজউক সময় বেঁধে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অফিস থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করে। মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ও মূল ফটকে তালা মেরে ভবনটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রাউজক।

বিএ-২০/১৭-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)