ভেজাল খাবার রোধে জিরো টলারেন্স

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘রোজার সময় পচা-বাসি খাদ্য যাতে বিক্রি না হয়, সে জন্য র‌্যাবের সমন্বয়ে ব্যাপক নজরদারি চালানো হবে। আসন্ন রমজানে পচা-বাসি ও ভেজাল খাবার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে সরকার। জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ নীতি গ্রহণ করা হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণবিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব মাহফুজুল হক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বলেন, ‘রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু রমজানে নয়, ৩৬৫ দিনেই আমরা রমজানের শিক্ষা নিয়ে খাদ্য সরবরাহ করতে চাই। চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ‘২৮ এপ্রিল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী সরকারি খাদ্যগুদামগুলোতে ১২ লাখ ৪০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ১০ লাখ ৬৭ হাজার টন ও গমের পরিমাণ ১ লাখ ৭৩ হাজার টন। খাদ্যশস্যের এ মজুত নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।’

চাল ও আটার বাজারদর সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী জানান, পাইকারি বাজারে চালের কেজি ২৬-২৮ টাকা, খুচরা বাজারে ৩২-৩৪ টাকা, আটা খুচরা বাজারে ২৬-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খোলা বাজার (ওএমএস) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৮০টি কেন্দ্রে, বিভাগীয় শহরগুলোতে ৮২টি, শ্রমঘন জেলা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরে ১৪১টি কেন্দ্রে পণ্য বিক্রি করছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। রমজানে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য স্থাপনাগুলো মনিটরিং করারও ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার জন্য মন্ত্রণালয়সহ সহযোগী সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করবে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় খাদ্যমন্ত্রী সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

বিএ-০৯/০২-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)