ঢাকায় নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু

ঢাকাবাসীকে বিভিন্ন অপরাধ থেকে রক্ষা করতে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা মহাগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ-২০১৯’ নামে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। রাজধানীর ৫০টি থানার ৩০২টি বিটে একযোগে ২১ জুন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয়। এরইমধ্যে ২২ লাখ পরিবারের ৬৩ লাখ নাগরিকের তথ্য ডিএমপির সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসে (সিআইএমএস) সংরক্ষণ করা হয়েছে। নানা কারণে এই কার্যক্রমে পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে ঢিলেমি শুরু হওয়ায় তা নতুন করে শুরু হলো।

অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার বলেন, সিআইএমএসে থাকা তথ্যানুযায়ী চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত ঢাকায় বাড়ির মালিকের সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন। ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ এবং অন্যান্য ১১০০ জন। এ ছাড়া পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১, ড্রাইভার ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন। সর্বমোট ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।

গত তিন বছরে একজন নাগরিকের তথ্যও ফাঁস হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এই সিস্টেমে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ইউনিক ইনডেস্ক নম্বর দেওয়া আছে। সেই নম্বর দিয়ে সিস্টেমে সার্চ দিলে কাঙ্খিত নাগরিকের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। এই সফটওয়ারের মাধ্যমে অপরাধ শনাক্তকরণের হারও অনেক বেড়েছে।

অনেকেই তথ্য দিতে গড়িমসি করছেন জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এই কার্যক্রম শতভাগ সফল করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ চলাকালে প্রতিটি থানার বিট অফিসার ওই এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশের প্রতিনিধিদেরকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার প্রতিটি বাড়ি যাচাই করে দেখবেন নাগরিক তথ্য প্রদানে কেউ বাদ পড়েছে কিনা।

ডিএমপি কর্মকর্তারা জানান, ২১ জুন পর্যন্ত চলা কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া থেকে কেউ বাদ পড়লে তাকে একটি তথ্য ফরম পূরণ করে পুলিশের কাছে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে পরের সাতদিন ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে গঠিত সার্ভেইল্যান্স টিম দৈব চয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় যাচাই করে দেখবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা। ওই সময় তথ্য দেওয়া থেকে কেউ বাদ গেলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়ারে যুক্ত করা হবে।

বিএ-০৭/১৫-০৬ (ন্যাশনাল ডেস্ক)