চলতি মাসেই ইংল্যান্ড, অক্টোবরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী

পূর্বনির্ধারিত জাপান সফর থাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে তখন অংশ নিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আসছে অক্টোবরে ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি। দেশটিতে অনুষ্ঠেয় ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদিও।

এ ছাড়া চলতি (জুলাই) মাসেই ইংল্যান্ড সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, আগামী ৩-৪ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে কো-চেয়ার থাকতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা, নতুন সামাজিক ব্যবস্থা, নতুন পরিবেশগত ব্যবস্থা এবং নতুন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা- এ চারটি থিম্যাটিক আলোচনার ওপরে আলোচনা হবে। নতুন সামাজিক ব্যবস্থাবিষয়ক আলোচনার কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।

এ সফরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানের মধ্যে কীভাবে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা যায়, এ সংক্রান্ত আলোচনাও গুরুত্ব পাবে এ সামিটে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ২০ জুলাই ইউরোপে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৫ জন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে লন্ডনে এনভয় কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় সরকার। এজন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কূটনীতি ও রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’

‘রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে তাদের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরামর্শ শুনবেন তিনি,’ – বলেন এই কর্মকর্তা।

এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকায় প্রথম রাষ্ট্রদূত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। গত এপ্রিলে দ্বিতীয় কনফারেন্স হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি অনুষ্ঠিত হয়নি। ইউরোপের পরে অঞ্চলভিত্তিক আরও এনভয় কনফারেন্স হওয়ার আয়োজন হতে পারে বলে জানা গেছে।

পাঁচদিনের চীন সফর শেষে গত ৬ জুলাই দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফর নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকেল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা-সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ৪ জুলাই চীনা প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন সিপিসির কার্যালয় গ্রেট হল অব দ্যা পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিংয়াংয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে এ চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

বিএ-০১/০৮-০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)