যৌন কেলেঙ্কারীতে চাকরি যাচ্ছে জামালপুরের ডিসির

নিজ দপ্তরের নারী কর্মীর সাথে যৌন কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে চাকরি যাচ্ছে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের।

এই ঘটনায় রোববার তাকে ওএসডি করে জামালপুর থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে শনিবার গভীর রাতে জামালপুর ছেড়েছেন তিনি।

এই ঘটনা তদন্তে রোববার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তবে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার চাকরি যাচ্ছে বলে সাফ জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সোমবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। অতীতে সেভাবে কাউকে শাস্তি পেতেও দেখা যায়নি।

জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, যদি তদন্তে (অভিযোগ) প্রমাণিত না হয় তবে কাউকে শাস্তি দেয়া কঠিন। আমরা এজন্য কমিটি করেছি। কমিটি দেখবে এটা।

অবজেক্টটিভলি দেখবে, নিরপেক্ষভাবে দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানুপুলেশন থাকে তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে।

সেজন্য এক্সপার্টও সঙ্গে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কী ধরনের শাস্তি হতে পারে- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা- সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), বিমুভাল হতে পারে অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হতে পারে। গুরুদণ্ড হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কার্যপরিধির বাইরেও যদি কোনো ইনফরমেশন চলে আসে তবে গঠিত তদন্ত কমিটি বলতে পারে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বিএ-০৮/২৬-০৮ (ন্যাশনাল ডেস্ক)