অফিসে এসে জ্ঞান হারালেন সেই সাধনা

সদ্য ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে যৌন কেলেঙ্কারীতে জড়োনো সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা অফিসে ফিরেছেন। তবে অফিসে এসেই ঘটেছে আরেক লঙ্কাকাণ্ড। জেরার মুখে জ্ঞান হারিয়েছেন। পরে সুস্থ্য হয়ে ছেড়েছেন অফিস।

একদিন আত্মগোপনে থাকার পর সোমবার সকালে বোরকা ও হিজাব পরে অফিসে আসেন তিনি। ফলে অফিসে তার উপস্থিতি টেরই পাননি কেউই।

অফিসে এসেই ছুটির আবেদন করেন সাধনা। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন দিনের ছুটি চেয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিসি অফিসের কয়েকজন কর্মী বলেন, অফিসে এসে বির্তকিত এই কাণ্ডের জন্য জেরার মুখেও পড়েন সাধনা। এরই এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে সেখানকার কর্মীরা শশ্রুষা করে তার জ্ঞান ফেরান।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন ওই নারী।

তবে বেরিয়ে যাবার সময় তিনি অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সামনে পড়েন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাধনা জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কীভাবে এসব হলো তা আমার জানা নেই।

এ সময় সাধনা সাংবাদিকদের কাছে আকুতি-মিনতি করে জানান, আমি বাঁচতে চাই, আমার সন্তানের জন্য আমাকে বাঁচান।

বিচার চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাধনা বলেন, আমি বিচার চাই তবে স্যারের কোনো দোষ নাই।

এদিকে, সাধনা তার ছুটির আবেদনে উল্লেখ করেছেন, অফিস চলাকালীন সময়ে অসুস্থ বোধ করছেন তিনি। চিকিৎসার জন্য তিনি ২৭ আগস্ট থেকে ৩ দিনের ছুটি চেয়েছেন।

ছুটির দরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার বলেন, সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামের ওই অফিস সহায়কের ছুটির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

নতুন জেলা প্রশাসক কর্মস্থলে যোগদান করে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এ ঘটনায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে ওই অফিস সহায়কের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সম্প্রতি নিজ দপ্তরের গোপন কামরায় এই সাধনার সাথে অবাধ যৌনতায় মত্ত হন জেলা প্রশাসন আহমেদ কবীর।

বৃহস্পতিবার রাতে তাদের সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এনিয়ে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন ডিসি ও তার শয্যা সঙ্গিনী।

জনরোষ থেকে বাঁচতে শনিবার রাতের আঁধারে জামালপুর ছেড়েছেন ডিসি।

ওএসডি করে রোববার তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তিনি নজিরবীহিন শাস্তির মুখে।

অন্যদিকে, এক সন্তানের সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা জননী জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। তিনিও রোববার ছিলেন আত্মগোপনে।

তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার শুকনগরী। মাকে নিয়ে শহরের শেখেরভিটায় তার ভাড়াবাসায় বসবাস করেন তিনি।

বিএ-০৭/২৬-০৮ (আঞ্চলিক ডেস্ক)