হামলাকারীদের সক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে, নির্মূলে সময় দিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আমরা মনে করি না পুলিশের ওপর হামলাকারীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। বরং মোটা দাগে হামলাকারীদের সক্ষমতাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র চলছে। এগুলো নির্মূলে সময় দিতে হবে।

রোববার দুপুরে ডিএমপির নিজ কার্যালয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে বোমা হামলার ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

পুলিশের ওপর বোমা হামলা জঙ্গি হামলা ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, বার বার পুলিশকে টার্গেট করার পেছনে কারণ হচ্ছে, নাগরিকের জান ও মালের নিরাপত্তা দেয়া। এর আগেও পুলিশ পেশাদারিত্ব রক্ষায় আত্মত্যাগ করে নাগরিক ও দেশের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।

কমিশনার বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে হামলার বিষয়টির তদন্ত চলছে। সমন্বয় সভা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জেনেছেন। তিনিও অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বোমাটি রিমোট কন্ট্রোল ছিল, নাকি টাইমার ছিল, নাকি ছুড়ে মারা হয়েছিল তা সময়সাপেক্ষ। তদন্ত করে বলা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইজিপিও পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং আলামত জব্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমাদের প্রযুক্তির আরও প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সংগ্রহ করে ঘটনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে এখনই এ ঘটনা সম্পর্কে মতামত দেয়া যাবে না। তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ ব্যাপারে মতামত দেয়া সম্ভব হবে। ২৪ ঘণ্টা পেরোইনি। তদন্ত একদম প্রাথমিক পর্যায়ে।

এই বিস্ফোরকটি একটি আইইডি। কোনো সন্ত্রাসী মহল এটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মূলত পুলিশকে টার্গেট করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে।

আজ থেকে তিন মাস আগে গুলিস্তান ট্রাফিক পুলিশ বক্সে প্রায় একই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানেও টার্গেট ছিল পুলিশ এবং পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল, তখনও পুলিশ ছিল টার্গেট। পল্টন ট্রাফিক পুলিশ বক্স, খামারবাড়ি খেজুর বাগানেও পুলিশ বক্সের কাছে কার্টনে বোমা রাখা হয়েছিল। গতকালের ঘটনাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সব ঘটনার পরম্পরা দেখে মনে হচ্ছে টার্গেট পুলিশ।

সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে যখন ট্রাফিক সিগন্যাল চলছিল, এএসআই যখন এগিয়ে আসে রাস্তা ক্লিয়ার করার জন্য তখন রাস্তা ফাঁকা ছিল। তখনই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্পষ্ট হয় যে টার্গেট ছিল পুলিশ।

বিএ-০৫/০১-০৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)