‘সরকার দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকার দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে পতন ঘটেছে। এই পতনের কারণ হল- দেশে কোনো প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নেই, যে কারণে আজকে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের নিজেদের দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি এমন প্রসার লাভ করেছে যে, সরকার তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।

শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ এখন আর নেই। সেটার প্রমাণ আমরা গত দুই সপ্তাহে পেয়েছি। শামীম, খালেদ আর সম্রাট- এরা মাত্র তিনটি নাম। আরও শত শত নাম আছে এবং শত শত মানুষ আছে যুবলীগ করে, যারা চাঁদাবাজি করে, ক্যাসিনো চালায় এবং জুয়ার আসর বসায়। এরা কারা? তারা তো এই দলেরই নেতা।

মওদুদ বলেন, আজকে ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী সভাপতি ও সেক্রেটারি হয়ে যে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন। তা শুধু শোভন-রাব্বানী নয়, এই দলের মধ্যে অনেক শোভন-রাব্বানী রয়েছে। একজন ছাত্রনেতা ৮৬ কোটি টাকা দুর্নীতি করতে পারে, এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। ছাত্রনেতা এত টাকা চাঁদাবাজি করবে এটা তো কল্পনার বাইরে।

মওদুদ আহমদ বলেন, আজ দুর্নীতি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। নিজেদের দলের মধ্যে তো আছেই, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ উপাচার্য দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। ১১টি পাবলিক ইউনিভার্সিটির মধ্যে তিনজন উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা পুড়ানো হয়েছে। উপাচার্য একজন সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু তারাও আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছেন। একই সঙ্গে আদালতের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা বলেন, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। যে নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব সরকার গঠিত হলেই এই নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, জুয়ারি, ক্যাসিনো দূর হবে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে এই সরকার ভয় পায়। কারণ, তারা জানে খালেদা জিয়া যদি মুক্ত হন, তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। স্বেচ্ছাচারিতা আর থাকবে না। ফ্যাসিবাদী সরকার আর থাকবে না, দেশে আইনের শাসন ফিরে আসবে। আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমাদের সব গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই আন্দোলনেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এ্যাবের আহ্বায়ক রাশিদুল হাসান, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কৃষিবিদ হেলাল উদ্দিন, কৃষিবিদ ড. মাহাবুবুল আলম তরফদার টুটন, মাহাবুবুর রশীদ গোলাপ, নুরুন্নবী ভূঁইয়া শ্যামল, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, আহসান হাবীব প্রান্ত, অধ্যাপক ড. এম ফারুখ, অধ্যাপক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান বাদল, অধ্যাপক ড. আমীর হোসেন, আনিছুজ্জামান আনিছ, ড. মমিনুজ্জামান খান ঝান্ডা, জুনায়েদ, জসিম উদ্দিন জনি, মশিউর রহমান, শরিফুল ইসলাম, জাহিদুল আবেদীন মিশু প্রমুখ।

বিএ-১৫/২৭-০৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)