পেঁয়াজের দাম কমলে, পদত্যাগ এক সেকেন্ডের বিষয়

বাজারের পেঁয়াজের ঘাটতি ও চড়া দামের কারণে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, ‘কেউ কেউ আমার পদত্যাগ দাবি করছেন। পদত্যাগ করা এক সেকেন্ডের বিষয়, তাতে যদি পেঁয়াজের দাম কমে। এই মন্ত্রিত্ব কাজ করার জন্য।’

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবসায়ীদের করণীয় বিষয়ে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটি ঢাকার একটি হোটেলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণ তুলে ধরে বলেন, বছরের শেষ দিকে প্রতি মাসে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আসে। ভারত বন্ধ করে দেওয়ায় এসেছে ২৫ হাজার টন। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসত। সেখানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলে সব দেশেই পেঁয়াজের দাম চড়া।

পেঁয়াজের বাজার সামাল দিতে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ বড় করার পর তারা উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে এস আলমের প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

কোনো মুনাফা ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি করে দেওয়ায় সিটি, মেঘনা ও এস আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের পেঁয়াজের খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি সাড়ে ৪২ টাকা।

এ পেঁয়াজ টিসিবিকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে অনেকে আমদানি করছে, সেটাতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এই মুনাফালোভীদের মূল্যবোধ সংকটের সময়ও জাগ্রত হয় না।

আগামী তিন বছরে পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এবার নতুন পেঁয়াজ উঠলে ভারতীয় পেঁয়াজ আমি বন্ধ করে দেব।’

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যসচিব আবদুছ সাত্তারসহ এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পরিচালক, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে অল্প সময়ের মধ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিএ-১৩/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)