ঢাকা সিটি নির্বাচন: তাবিথ-ইশরাকের মামলায় সিইসিসহ ১৫ জনকে সমন

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিল চেয়ে বিএনপির দুই মেয়রপ্রার্থীর পৃথক মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাসহ ১৫ বিবাদীকে জবাব দিতে সমন জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য বিএনপির মেয়রপ্রার্থীদের পৃথক দুই মামলা আমলে নিয়ে বিবাদীদের জবাব দেয়ার জন্য এ সমন জারি করেন। আগামী ২ এপ্রিল সমনের জবাব দেয়ার দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নির্বাচন বাতিল ও নতুন নির্বাচন চেয়ে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন একটি মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আটজনকে।

এর আগে সোমবার (২ মার্চ) ডিএনসিসি নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিল চেয়ে ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে মামলা করেন ওই নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। মামলায় বিবাদী করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম ও নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আটজনকে।

দুই মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়। তবে দুই মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে জবাব দিতে হবে।

দুই মেয়র প্রার্থীর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, গত নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। নির্বাচন সঠিকভাবে হয়নি। নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচনের জন্য মামলা করেছি।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন হয়। ওইদিন ডিএনসিসি ও ডিএসসিসিতে মেয়র পদে জয়লাভ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বিএ-১২/০৩-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)