অর্থপাচার রোধে কঠোর সরকার

দেশ থেকে অস্বাভাবিক হারে অর্থপাচার বেড়েছে। তবে এ পাচার প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে।

ঢাকার একটি হোটেলে রোববার ইনকোটার্মস-২০২০ এর ওপর একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উলে­খ্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার উঠে এসেছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে এক হাজার ১৫১ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচারের পরিমাণ ২০১৪ সালের চেয়ে বেড়েছে।

আমদানি-রফতানির আড়ালে এভাবে অর্থপাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরাও জেনেছি, রিপোর্টগুলোও দেখেছি। এগুলো দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আছে। মোস্টলি বলা হচ্ছে, ওভারপ্রাইজিং করা হচ্ছে। ওভার ইনভয়েস করে টাকা-পয়সা নিয়ে যাচ্ছে। এটা একটা বড় কথা।’ সেক্ষেত্রে তো একটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আছে। জিনিসটার দাম এক টাকা, সেটা যদি দেড় টাকা করে নিয়ে যায়, সেখানে তো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এটা একটা আলোচিত বিষয়। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে শক্ত অবস্থান নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় চিঠিপত্রও দিয়েছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এ পরিমাণ টাকা যদি চলে যায়, আমাদের দেশের অবস্থাও তো তেমন নয়। যেমন- হংকংয়ে কোনো রেস্ট্রিকশন নেই, সেখানকার জনগণ যত ইচ্ছা টাকা পাঠাতে পারে, যত ইচ্ছা আনতে পারে। কিন্তু আমরা তো সেই অবস্থায় এখনও যাইনি। আমাদের তো আরও অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ থেকে টাকা যেন পাচার না হয়ে যায়, আমরা সতর্ক আছি।’

এর আগে কর্মশালায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বিশ্ববাণিজ্যে বিধিবিধান সময়োপযোগী হওয়া প্রয়োজন। বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য প্রচলিত নিয়ম-কানুনগুলোরও পরিবর্তন প্রয়োজন হয়। ওয়ার্ল্ড বিজনেস অর্গানাইজেশনের সহায়তায় সময়ে সময়ে তালমিলিয়ে নতুন রুলস প্রবর্তন হয়। এজন্য নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস চালু হতে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন– বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, আইসিসি বাংলাদেশ ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও মুহাম্মদ এ রুমি আলী প্রমুখ।

বিএ-১৪/০৮-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)