করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইতালি ফেরত দুজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইতালি ফেরত সেই দুজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এর আগে রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্ক আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুল ইসলাম জানান, ‘অবশ্যই আছে। এই আশঙ্কা রোধের জন্য আমরা ব্যবস্থাও করেছি। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করে কোথায় গেছে, কাদের সঙ্গে মিশেছে- সবকিছু করে…আমরা প্রথম জনের জন্য ৪০ জনকে ট্র্যাক করেছি। কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, তাদেরকে আমরা ফার্স্ট কন্ট্রাক্ট ধরব, এক্সটেন্ডেড কন্ট্রাক্ট ধরব, তাদের কীভাবে কোয়ারেন্টাইল করব- সবকিছু ফলো করেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

স্বাস্থ্যসচিব আরও বলেন, ‘কার সঙ্গে মিশেছে, কোথায় গেছে সে অনুযায়ী তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারব না। তাদের যতো কন্ট্যাক্ট আইডেন্টিফাই করেছি সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।’

ইতালি থেকে আসা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা বিমানবন্দর পেরিয়ে আসল কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনায় ভাইরাস থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আসবে বা অন্যকিছু হবে তা নয়। ১৪ দিন পর্যন্ত এটির উপসর্গ হিডেন থাকতে পারে। যখন তিনি এসেছেন তখন কিন্তু তার উপসর্গ ছিল না।

‘ফলে আইডেন্টিফাই করার ব্যবস্থা নেই, এমনকি স্ক্যানিংয়ে তার জ্বর ধরা পড়বে না। তাদের একটি লোকটর ফর্ম দেয়া হয়েছে, সেখানে সে কীভাবে থাকবে তার তথ্য নেয়া হয়, আর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চলে আসবেন সেটি বলা হয়।’

তিনি বলেন, আমরা সে ক্ষেত্রে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং করি। তারা কোথায় থাকলো, কি করেছে এগুলো জানি। আবার তারাও হটলাইনে যোগাগাযোগ করে জ্বর, কাশি হলে। এভাবে ১০০ জনকে আমরা টেস্ট করেছি যাদের এই উপসর্গ ছিল। তাদের মধ্যে এই দুইজন যারা বিদেশ থেকে এসেছিল তাদের শরীরে ধরা পড়ছে।

বিদেশ থেকে আসার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সেসব দেশ থেকে যেন কম আসে। এমনকি আমাদের যারা সে দেশে আছে তাদের যাতায়াত রেস্ট্রিক্টেড করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে যেসব দেশে বেশি প্রাদুর্ভাব তাদের অনএরিভাল ভিসা স্থগিত করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।’

বিএ-০৫/০৯-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)