সতর্ক করলেন প্রধান বিচারপতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ লেখা ও বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন কিছু সহ্য করা হবে না। এমনকি তাদের জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না।

রোববার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক আসামির জামিন শুনানিতে এ মন্তব্য করেন।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, প্রধান বিচারপতি সতর্ক করে বলেছেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন।

আইনজীবীরাও বলছেন, বাক স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই প্রকাশ বা প্রচার করা সংবিধানও অনুমতি দেয় না।

ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক বলেন, বাক স্বাধীনতা আছে তারও সীমারেখা সংবিধানে প্রটেক্টেড। সেই আওতায় থেকেই আমাদের চলতে হবে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হলে ব্যক্তি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তবে অপপ্রয়োগ হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে তিনি।

তিনি বলেন, ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তাকে চরিত্র হনন করা বা এমন কিছু ছড়িয়ে দেয়া এসব কারণে এ আইনটি প্রয়োগ করা হয়। এখন যদি অপপ্রয়োগ হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনে আছে। এ আইন যদি না থাকে তাহলে মানুষের যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সেটি বিনষ্ট হবে।

যদিও অনেকে আইনটি পুরোপুরি বাতিল না করে বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ডিজিটাল নিরপাত্তা আইন বাতিল চেয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি এ আইনে নয়টি বিতর্কিত ধারা আছে যেগুলো হয়রানিমূলক ও বাকস্বাধীনতার পরিপন্থি।

এসএইচ-৪১/০৭/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)