করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ ২০ লাখ কিট আমদানি হচ্ছে

বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়ার সময় আসেনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংক্রমণের এখনকার ধারাকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের লক্ষণ বলছেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের তরফ থেকেও এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। করোনার পরীক্ষা বাড়াতে সরাসরি আরও ২০ লাখ কিট আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও সংক্রমণ রোধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দেশের সব হাসপাতালকে।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে এডিবির অনুদানে সরাসরি ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার কিট আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এডিবির তরফ থেকেও অনাপত্তি পাওয়া গেছে।

এডিবির অনাপত্তির বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ৭ মার্চ অর্থ বিভাগকে জানিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, কিট আমদানির জন্য চলতি সপ্তাহে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হবে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, করোনার প্রকোপ বাড়লে এর প্রভাব দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের ওপর পড়বে। এ জন্য সতর্কতা অবলম্বনের বিকল্প নেই। করোনার প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যবিধি না মানা।

সম্প্রতি দেখা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক লোক সমাগম হচ্ছে। মানুষ বেপরোয়া হয়ে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নো মাস্ক নো সার্ভিন নীতি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। তবে আশার কথা- টিকার শুভ সূচনা হয়েছে। হট স্পট এলাকায় দ্রুত টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

এসএইচ-১০/১৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)