কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর কমিউনিটি ভিত্তিক রেডিও: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

কমিউনিটি

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, কমিউনিটি রেডিও হচ্ছে কমিউনিটি ভিত্তিক রেডিও। এই গণমাধ্যমে দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের কথা সরাসরিভাবে বলার সুযোগ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি, তৈরি হয়েছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার হওয়া ও শোনার সুযোগ।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে ইউনেস্কো আয়োজিত যোগাযোগে আঞ্চলিক রেডিও ভূমিকা বিষয়ক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। দেশে অন্যান্য গণমাধ্যমের সাথে প্রান্তিক জনপথের মানুষের মতামত প্রকাশের জন্য ১৭টি কমিউনিটি রেডিও চলমান রয়েছে।

রেডিও এখন আর রেডিওতে সীমাবদ্ধ নেই। শ্রোতারা রেডিও শোনেন, তবে রেডিওতে নয়, মুঠোফোনে। রেডিও এখন দেখারও বটে।ফেসবুকে রেডিও দেখা যাচ্ছে টেলিভিশনের মতোই। কোনো কোনো রেডিওর রয়েছে ইউটিউব চ্যানেল।’

মুরাদ বলেন, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহের সঙ্গে গণতন্ত্রের নিবিড় সম্পর্ক একটি সর্বজনস্বীকৃত বিষয়। কার্যকর ও ফলপ্রসূ গণতন্ত্রের জন্য অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্র্রাসসহ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় কমিউনিটি রেডিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

করোনার প্রকোপ কমিয়ে আনতে গ্রামীণ জনগণকে মহামারির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত ও সচেতন করা, নাগরিক সমাজের সংগঠনসমূহ, সরকার, স্বাস্থ্য কর্মীদের এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করছে। জনগণের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখা এবং স্থানীয় বাজার, নাগরিক সমাজের সংগঠন এবং সরকারে মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে কমিউনিটি রেডিওগুলো ভূমিকা পালন করছে।’

এসময় ভার্চুয়াল আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন নেপালের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মহেন্দ্র বাহাদুর, মঙ্গোলিয়ার সংসদ সদস্য মিসেস জার্গালমা, মঙ্গোলিয়ার জাতীয় মানবাধীকার কমিশনের প্রধান জে খুনান, বাংলাদেশের ইউনেস্কোর প্রতিনিধি এবং দপ্তর প্রধান এমএস. বিয়াট্রিস কালদুন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এসএইচ-১১/২৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)