বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন

বাংলাদেশে তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে গ্লোব বায়োটেক।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) এ অনুমোদন দিয়েছে। মূলত বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনের ট্রায়াল প্রাণিদেহে সফল হওয়ায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ফলাফলে এই টিকা ডেল্টাসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ১১টি ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।

এর আগে বানরের দেহে চালানো বঙ্গভ্যাক্স পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কিত প্রতিবেদন গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) জমা দেয়। একই সঙ্গে বিএমআরসির তৃতীয় চিঠির সব প্রশ্নের জবাবও দেয় গ্লোব।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএমআরসি আর কালক্ষেপণ না করে অতিদ্রুত নৈতিক অনুমতি দিয়ে দেয়, তাহলে আমরা ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নভেম্বরের মধ্যেই মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বানর আর মানুষের মধ্যে জিনগত বেশ মিল থাকায় এবং বানরের পরীক্ষায় ‘বঙ্গভ্যাক্স’ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং শতভাগ কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় আমরা খুবই আশাবাদী যে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহেও অনুরুপভাবে কাজ করবে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেওয়া হয়। এরপর বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা দেওয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি।

গত ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে পরীক্ষা শুরু করে, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।

এসএইচ-১৭/২৩/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)