ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বাস্তবায়ন নেই ১১ দফার

ওমিক্রন রুখতে ১১ দফা নির্দেশনার দুই সপ্তাহ হতে চললেও মাঠপর্যায়ে নেই বাস্তবায়ন। মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে বিধিনিষেধ বাস্তাবায়নের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এদিকে দিন দিন সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। সরকারি নির্দেশনাকে কাগুজে নিয়ম রক্ষার প্রচেষ্টা উল্লেখ করে সামনের দিনগুলোতে বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রুখতে গত ১৩ জানুয়ারি প্রথম ১১ দফা নির্দেশনার আওতায় আসে দেশ। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সরকারের তরফ থেকে আরোপ করা হয় আরও একাধিক বিধিনিষেধ বা নির্দেশনা।

অথচ সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি বলছে ভিন্ন কথা। বিধিনিষেধ শুরুর দিন সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশের নিচে থাকলেও বর্তমানে তা ছাড়িয়েছে ৩১ শতাংশ।

সংক্রমণের পারদ রেখার ঊর্ধ্বগতির কালেও থেমে নেই মানুষের অসচেতনতা। মাঠের চিত্র বলছে, বিধি থাকলেও নেই নিষেধ। মাস্ক পরতেও নারাজ বহু মানুষ, দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। সরকারকে শুধু কাগুজে নির্দেশনা দিয়ে ক্ষান্ত হলে চলবে না জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে দরকার বিজ্ঞানসম্মত যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

সংক্রমণশীল ওমিক্রনের জটিলতা কম হলেও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্তদের প্রতি বাড়তি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এসএইচ-০৪/২৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)