ইসি গঠন বিলে দুই পরিবর্তনের সুপারিশ

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সোমবার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে সংসদে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। আগামী বুধবার সংসদ অধিবেশনে কমিটির এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, কমিটিতে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। আমরা যোগ্যতা ও অযোগত্যার জায়গায় কিছু পরিবর্তন এনেছি। সেভাবেই সংসদে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্বায়ত্বশাসিত ও পেশায় নিয়োজিত ধারাটি যোগ হতে পারে।

ওই বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল পাসে সরকারের কোনো তড়িঘড়ি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিলের কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনার কথাও জানান তিনি। এ বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, অতীতের কমিশন গঠনের বৈধতা দিতেই এই আইন।

রোববার সংসদে প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। রীতি অনুযায়ী সেই বিলটি এখন স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণের টেবিলে রয়েছে।

আগের দিন বিল উত্থাপনের পর বিষয়টি নিয়ে সোমবার  দুপুরের আগেই সংসদে বৈঠক করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বেলা ১২টায় এ বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, শামীম হায়দায় পাটোয়ারীসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বিল পাস করার জন্য সরকারের কোনো তাড়াহুড়ো নেই। যখনই আইনটি কেবিনেটে পাস হয়েছে তাৎক্ষণিক ল লেজিসলেটিভ বিভাগের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। আর এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আমি তো বুঝলাম না এখানে গোপনীয়তা কি, আর আমরা এতো বোকা না, এই আইনটা গোপন করে আমরা কি লাভ।

বিশেষ পর্যবেক্ষণে আইনটির কিছু ধারায় পরিবর্তন আসছে বলে ইঙ্গিত দিলেও সেই ধারা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি আনিসুল হক। তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন আসছে যেটা এখন বলবো না। তার কারণ হচ্ছে এটা জানার সবচেয়ে আগে অধিকার আছে সংসদ সদস্যদের। যখন আমি এটা হাউসে উত্থাপন করবো তখন সেইটা কি সংশোধন হবে সেখানেই সাব্যস্ত হবে।

এদিকে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার মতে, অতীতের কমিশন গঠনের বৈধতা দিতেই এ আইনটি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখানে আসলে স্বাধীনতা থাকে না সার্চ কমিটির। সেই জায়গাটিতে আমি আলোকপাত করেছি, বলেছি যে বিধি ৭ ও ৯ এর ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। আজকে একটা কথা এসেছে আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয় না, আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয়।

সংসদ সূত্র মতে, স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট সাতদিনের মধ্যে অধিবেশন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এরপরই সেটি পাস করার আবেদন জানানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে।

এসএইচ-১৮/২৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)