বাঘ সংরক্ষণ শিখতে বিদেশ যাবেন ২০ কর্মকর্তা

অর্থের জোগান পেলে চলতি বছরের নভেম্বরে সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু করবে বন বিভাগ। আর এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশ্ব বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এমন দেশে ২০ জন সরকারি কর্মকর্তার শিক্ষা সফরসহ ৫০০ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

শিক্ষা সফরের জন্য ভারত ও নেপালকে বেছে নেওয়া হবে। ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’র মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার খুলনার বন দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন এ তথ্য জানান। এ সময় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সহকারী বন কর্মকর্তা এম এ হাসান, নির্মল কুমার প্রমুখ।

বন কর্মকর্তারা জানান, গত ২৩ মার্চ ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। তবে বিদেশে শিক্ষা সফর ও প্রশিক্ষণে কত টাকা ব্যয় করা হবে এ সম্পর্কে তাঁরা কিছু বলেননি।

বন কর্মকর্তারা বলেন, বাঘ গণনা, গণনার জন্য আবাসন লঞ্চ ও চার মাসের জন্য সাপোর্ট বোট ভাড়া, ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার জন্য ২০০টি বিশেষ ক্যাটাগরির ক্যামেরা সংগ্রহ, ব্যাটারি, এসডি কার্ড ক্রয়, জরিপ দলে অনিয়মিত শ্রমিক, ট্রলারচালক ও জরিপের কার্যক্রম পরামর্শক, জরিপ দলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ আরো কিছু কাজে তিন কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে।

বাঘের শিকার হরিণ, বন্য শূকর ইত্যাদি প্রাণির জরিপ, বাঘ স্থানান্তর, অন্তত দুটি বাঘে স্যাটেলাইট কলার স্থাপন ও মনিটরিং, বাঘের পরজীবী সংক্রমণ ও অন্যান্য ব্যাধি নির্ণয়, উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং এসবের প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে প্রকল্পটি শেষ হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনে আগুন লাগা প্রবণতার অংশে দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ, দ্রুত আগুন নেভানোর যন্ত্রাংশ, পাইপ, ড্রোন ক্রয়, লোকালয়ে বাঘ প্রবেশ রোধে ৬০ কিলোমিটার অংশে নাইলনের ফেন্সিং নির্মাণ করা হবে।

এসএইচ-১৩/০১/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)